গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী যারা
Published: 2nd, March 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা, প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ- ১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। গত শুক্রবার ঘোষণা করা হয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থীর নাম। দলটির গোপালগঞ্জ জেলার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রার্থীরা হলেন- গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী একাংশ) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ, গোপালগঞ্জ-২ (সদর-কাশিয়ানীর অপরাংশ) আসনে অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার ও গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনে অধ্যাপক রেজাউল করিম।
আরো পড়ুন:
কোটালীপাড়ায় জামায়াত প্রার্থী রেজাউলের শোভাযাত্রা
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রপতির শ্যালক
কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির সোলায়মান গাজী বলেন, “গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিমকে প্রার্থী করায় আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দিত। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের দলীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গোপালগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করা হয়নি। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। গোপালগঞ্জের তিনটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ র আম র
এছাড়াও পড়ুন:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাসের রায় বহাল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রয়েছে।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া এবং অপর দুজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। এ মামলা থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া ও অপর দুজন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ একটি ও দুদক পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করে। পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল একসঙ্গে শুনানির জন্য আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১০ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে আইনজীবী আসিফ হাসান শুনানিতে অংশ নেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাকসুদ উল্লাহ শুনানিতে ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেরিটে শুনানি নিয়ে পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রইল।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া সব কটি মামলার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার অপর এক আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল।’
হাইকোর্ট খালেদা জিয়াসহ তিনজনের আপিল মঞ্জুর করে গত বছরের ২৭ নভেম্বর রায় দিয়েছিলেন। অপর দুজন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ গত মাসে একটি লিভ টু আপিল করে। আর খালেদা জিয়ার বিষয়ে একটি এবং অপর দুজনের বিষয়ে একটিসহ পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করে দুদক। শুনানির পর আজ এই তিনটি লিভ টু আপিল খারিজ হলো।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। একই সাজা হয় অপর আসামিদের। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন গত বছরের ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে এই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।