আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা, প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ- ১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। গত শুক্রবার ঘোষণা করা হয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থীর নাম। দলটির গোপালগঞ্জ জেলার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রার্থীরা হলেন- গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী একাংশ) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ, গোপালগঞ্জ-২ (সদর-কাশিয়ানীর অপরাংশ) আসনে অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার ও গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনে অধ্যাপক রেজাউল করিম।

আরো পড়ুন:

কোটালীপাড়ায় জামায়াত প্রার্থী রেজাউলের শোভাযাত্রা

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক রাষ্ট্রপতির শ্যালক

কোটালীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির সোলায়মান গাজী বলেন, “গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিমকে প্রার্থী করায় আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দিত। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের দলীয় কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গোপালগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করা হয়নি। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অভ্যন্তরীণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। গোপালগঞ্জের তিনটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।” 

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ র আম র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ