বলিভিয়ায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৩৭
Published: 2nd, March 2025 GMT
বলিভিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় পোটোসি অঞ্চলে দুই বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৯ জন। দেশটির পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টায় উয়ুনি এবং কোলচানি শহরের মধ্যবর্তী রুটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। একই দিকে যেতে থাকা দু’টি বাসের মধ্যে সামনেরটি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলে পেছনেরটি এসে সজোরে ধাক্কা দেয়।
পোতোসির ডিপার্টমেন্টাল পুলিশ কমান্ডের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, এই মারাত্মক দুর্ঘটনায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ৩৯ জনকে উইউনি শহরের চারটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাস দুটির চালক দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও অন্যজন ইনটেনসিভ কেয়ারে রয়েছেন।
পুলিশ হতাহতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে বলিভিয়া সরকার জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী একটি বাস সম্ভবত তীব্র গতিতে চলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেক লেনে ঢুকে পড়ে আর তাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয়েছে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবা বিল্লাল হোসেনের ঠিকাদারি লাইসেন্স। বাবার এ ‘ভুলের’ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপদেষ্টা। এ সময় তার বাবার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন এবং এ সংক্রান্ত কাগজপত্র শেয়ার করেন।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে শুরুতেই তার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “গতকাল (বুধবার) রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ারের কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন।”
তিনি লেখেন, “বিষয়টি ওই সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম”।
আসিফ জানান, তার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য তাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন।
“বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোনো লাইসেন্স করতেই পারেন। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত।”
বিষয়টি বোঝার পর আজ তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ।
তিনি লেখেন, “বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
এই লাইসেন্স ব্যবহার করে মধ্যবর্তী সময়ে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি বলেও সেখানে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা/ইভা