তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে বাহারি সব খাবার দিয়ে
Published: 2nd, March 2025 GMT
তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত। রমজানকে বরণ করে নিতে তুর্কমেনদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। ‘আল মিসরিল ইয়াওমি’ পত্রিকায় বলা হয়েছে, তাঁদের বড় আয়োজন হলো রমজানের জন্য বিশেষ বাজারসদাই। রমজানের আগে মসজিদ ও বাসাবাড়ি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করা হয়। রমজানে সব আত্মীয়স্বজন একত্র হয়। তুর্কমেনদের ঐতিহ্য পরিবারের সবাই একসঙ্গে রোজা রাখা এবং একসঙ্গে ইফতার করা।
তুর্কমেনি নারীরা সাজতে খুব পছন্দ করেন। রমজান আসার আগে নিজেদের বাসা, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদে শোভা বাড়াতে তাঁরা নতুন কার্পেট কেনেন। কারুকাজখচিত কাপড় বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
রমজানের জোহরের নামাজের পরই মসজিদগুলোতে নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে কোরআন–হাদিসের মজলিসের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন থাকে। প্রতিযোগিতার বিষয় হয় ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তাতে অংশ নেয় তুর্কমেনি শিশু–কিশোরেরা। রমজান এলে পরস্পর দান–সদকারও প্রতিযোগিতা করে।
আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে প্রকার বাহারি সব খাবার দিয়ে। এর মধ্যে আছে দাগরামা সমুচা ও তুর্কমেন পানীয়। সঙ্গে খেজুর ও বিভিন্ন শাকসবজি। ইফতার ও সাহ্রিতে উট বা ভেড়ার গোশতের তৈরি বিভিন্ন খাবার থাকে। তাতে নানা মসলার ব্যবহার থাকে। তাদের ইফতারির টেবিলের আবশ্যিক অনুষঙ্গ উটের দুধের চা। শীতপ্রধান দেশ হওয়ায় চায়ের কদর রয়েছে বারো মাস।
তুর্কমেনিস্তানে পুরো রমজানে তারাবিহর নামাজ আদায় করা হয়। তুর্কমেনরা এশার নামাজ দেরি করে পড়ে ফজর পর্যন্ত তারাবিহর নামাজ দীর্ঘ করে। এটা তুর্কমেনদের বিশেষ কৃষ্টি। অন্য কোনো দেশে এ রকমটা দেখা যায় না।
শবে কদরকে কেন্দ্র করে তুর্কমেনরা বিশেষ ইবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনহাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল কেন পড়ব০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র কম ন স ত ন রমজ ন ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএনসিসির ‘ঈদ আনন্দ উৎসব’, থাকছে ঈদের জামাত, আনন্দমিছিল, মেলা ও অনুষ্ঠান
নগরবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদের জামাতসহ এ উৎসব আয়োজনে থাকছে ঈদ আনন্দমিছিল, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও। এ আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাত হবে। জামাত শেষে মাঠ থেকেই শুরু হবে ঈদ আনন্দমিছিল। মিছিলটি আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক হয়ে খামারবাড়ি মোড় দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শেষ হবে। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে সেমাই ও মিষ্টির ব্যবস্থা।
এ ছাড়া আনন্দ উৎসবের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ১০০টি স্টলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নাগরদোলা ও অন্য খেলার সরঞ্জাম থাকবে।
ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের জামাতে মূল ইমামতি করবেন কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। সব মিলিয়ে ঈদের দিন ওই মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশের একটি সারির বেশির ভাগ জায়গা বরাদ্দ রাখা হবে নারীদের নামাজের জন্য।
মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা থাকবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে। জামাতে অংশ নিতে যাঁরা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখা যাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কিংবা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। ২৯ মার্চ