তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত। রমজানকে বরণ করে নিতে তুর্কমেনদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। ‘আল মিসরিল ইয়াওমি’ পত্রিকায় বলা হয়েছে, তাঁদের বড় আয়োজন হলো রমজানের জন্য বিশেষ বাজারসদাই। রমজানের আগে মসজিদ ও বাসাবাড়ি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করা হয়। রমজানে সব আত্মীয়স্বজন একত্র হয়। তুর্কমেনদের ঐতিহ্য পরিবারের সবাই একসঙ্গে রোজা রাখা এবং একসঙ্গে ইফতার করা।

তুর্কমেনি নারীরা সাজতে খুব পছন্দ করেন। রমজান আসার আগে নিজেদের বাসা, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদে শোভা বাড়াতে তাঁরা নতুন কার্পেট কেনেন। কারুকাজখচিত কাপড় বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

রমজানের জোহরের নামাজের পরই মসজিদগুলোতে নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে কোরআন–হাদিসের মজলিসের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতারও আয়োজন থাকে। প্রতিযোগিতার বিষয় হয় ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তাতে অংশ নেয় তুর্কমেনি শিশু–কিশোরেরা। রমজান এলে পরস্পর দান–সদকারও প্রতিযোগিতা করে।

আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে প্রকার বাহারি সব খাবার দিয়ে। এর মধ্যে আছে দাগরামা সমুচা ও তুর্কমেন পানীয়। সঙ্গে খেজুর ও বিভিন্ন শাকসবজি। ইফতার ও সাহ্‌রিতে উট বা ভেড়ার গোশতের তৈরি বিভিন্ন খাবার থাকে। তাতে নানা মসলার ব্যবহার থাকে। তাদের ইফতারির টেবিলের আবশ্যিক অনুষঙ্গ উটের দুধের চা। শীতপ্রধান দেশ হওয়ায় চায়ের কদর রয়েছে বারো মাস।

তুর্কমেনিস্তানে পুরো রমজানে তারাবিহর নামাজ আদায় করা হয়। তুর্কমেনরা এশার নামাজ দেরি করে পড়ে ফজর পর্যন্ত তারাবিহর নামাজ দীর্ঘ করে। এটা তুর্কমেনদের বিশেষ কৃষ্টি। অন্য কোনো দেশে এ রকমটা দেখা যায় না।

শবে কদরকে কেন্দ্র করে তুর্কমেনরা বিশেষ ইবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

আরও পড়ুনহাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল কেন পড়ব০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত র কম ন স ত ন রমজ ন ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি-রোনালদো-রিকেলমে-রুনি সবাই খেলবেন একই ম্যাচে, আয়োজন করছেন তেভেজ

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিশ্চয়ই একই ম্যাচে খেলতে দেখেছেন। খেলতে দেখেছেন ওয়েইন রুনি–রিকেলমেদেরও। কিন্তু একই ম্যাচে মেসি, রোনালদো, রিকেলমে, রুনি—এদের সবাইকে একসঙ্গে নিশ্চয়ই দেখেননি। কখনো না দেখা সেই দৃশ্যই দেখা যেতে পারে কার্লোস তেভেজের সৌজন্যে।

আর্জেন্টিনার এই তারকা ফরোয়ার্ড পেশাদার ফুটবল ছেড়েছেন ২০২২ সালে। তিন বছর পার করে এখন একটি বিদায়ী ম্যাচ খেলার ইচ্ছা জেগেছে তাঁর। আর সেই বিদায়ী ম্যাচেই তাঁর সঙ্গে খেলা তারকা ফুটবলারদের একত্রিত করতে চান তেভেজ।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে খেলা তেভেজ অবসর নিয়েছেন বোকা জুনিয়র্সে খেলে। আর্জেন্টাইন ক্লাবটির ঘরের মাঠ লা বোমবোনেরা স্টেডিয়ামে তিনি একটি ফেয়ারওয়েল ম্যাচ খেলতে চান। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ওলগায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তেভেজ বলেন, ‘আমি বিদায়ী ম্যাচের আয়োজন করব। এখন খুঁজে দেখতে হবে কখন করা যায়। কারণ, সময় বের করা সহজ নয়।’

তেভেজ খেলা ছাড়ার পর রোসারিও সেন্ট্রাল ও ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে কোচিং করিয়েছেন। তবে এ মুহূর্তে কোনো ক্লাবের সঙ্গে নেই। তবে সময় বের করা মুশকিল যাঁদের তিনি সঙ্গে চান তাঁদের কারণে। মেসি ও রোনালদো  দুজনকেই নিজের বিদায়ী ম্যাচে চান তেভেজ, ‘লিও মেসি, ক্রিস্টিয়ানো...ওদের নিয়ে আসব। আমি ওদের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ করব। আমার হোয়াটসঅ্যাপে ওদের নাম্বার সেভ করা আছে।’

মেসি, তেভেজ যখন একসঙ্গে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লন্ডনে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
  • ‘জামিল এসে বলল, আপা চলেন প্রেম করি’
  • লন্ডনে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে একসঙ্গে শেখ হাসিনার সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
  • এক তপশিলে পাঁচটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন
  • মেসি-রোনালদো-রিকেলমে-রুনি সবাই খেলবেন একই ম্যাচে, আয়োজন করছেন তেভেজ