পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া সম্প্রতি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ২৬ পদে মোট ৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোয় যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারবেন যে কেউ। আবেদন শুরু হবে ১২ মার্চ থেকে, আবেদন করা যাবে আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে।

আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংক নেবে এক্সিকিউটিভ অফিসার, প্রয়োজন অভিজ্ঞতার১ ঘণ্টা আগে

পদের নাম ও পদসংখ্যা
১.

উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল)
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২. উপসহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল)
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৩. ফটোগ্রাফার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৪. ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৫. পশুপালন সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা

আরও পড়ুনআজ থেকে ৪০ দিনের ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে৪ ঘণ্টা আগে

৬. পোলট্রি অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৭. উদ্যান সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৮. রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর
পদসংখ্যা: ৩
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
৯. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-০৮
পদসংখ্যা: ৮
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১০. হোস্টেল সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১১. ক্যাফেটেরিয়া সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১২. রিসিপ্ট অ্যান্ড ডেচপাচ ক্লার্ক
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১০১ মার্চ ২০২৫

১৩. গাড়িচালক
পদসংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৪. কার্পেন্টার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৫. ট্রাক্টর ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৬. ক্যাফেটেরিয়া অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ২
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৭. হোস্টেল অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ৪
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৮. মালি
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
১৯. নিরাপত্তাপ্রহরী
পদসংখ্যা: ৪
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা

২০. ডিস ওয়াসার কাম ক্লিনার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২১. বাবুর্চী সহকারী
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২২. চৌকিদার কাম কুক
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২৩. ক্যাটলকিপার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২৪. পোল্ট্রি রিয়ারার
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা

২৫. অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা
২৬. ক্লাসরুম অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ১
বেতন স্কেল: ৮২৫০-২০০১০ টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য ভাতা

চাকরি আবেদনের বয়স

আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১২-০৩-২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সহক র পদস খ য অন য ন য ভ ত রপদস খ য

এছাড়াও পড়ুন:

আধিপত্যের দ্বন্দ্বে নষ্ট হওয়ার পথে ২৫০ বিঘার পাকা ধান

মাঠে বোরো ধানের ক্ষেত সোনালি রং ধারণ করতে শুরু করেছে। কৃষক কাটতে শুরু করেছেন কষ্টের ফসল। গ্রামাঞ্চলে রীতিমতো শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কিন্তু নড়াইলের কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলার কয়েকজন কৃষকের মুখে হাসি নেই। কারণ পরিশ্রম করে ফলানো ফসলই যে ঘরে তুলতে পারছেন না তারা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় ২৫০ বিঘা জমির ধান নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দ্রুত কাটতে না পারলে ফসল নষ্ট হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
গত ১৫ মার্চ কালিয়ার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে হাসিম মোল্যা খুন হন। সিলিমপুর ও গাজীরহাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের বিরোধ ছিল। এর জেরে স্থানীয় হাসিম মোল্যা ও মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু পক্ষের সঙ্গে জনি মোল্যা গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিমের বাবা কাদের মোল্যা নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তিকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গাজীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম ঠান্ডুকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আসামিপক্ষের প্রায় ২৫টি পরিবারের ১০টি বাড়িতে আগুন এবং ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আসামিপক্ষের দাবি, এখন ধান কাটতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। কাটতে হলে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হবে। একই অবস্থা লোহাগড়ার লাহুড়িয়ায়। মুক্তিযোদ্ধা আকবর শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শতাধিক পরিবার বাড়িছাড়া। এলাকায় আসামিপক্ষের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিলিমপুরের ঘটনায় আসামি রউফ শেখের ছেলে আউলিয়া শেখ বলছিলেন, তাদের বংশের অন্তত ২০ একর জমির পাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না। শ্রমিক পাঠালে বাদীপক্ষের মুস্তাক মোল্যাসহ অনেকে তাদের জমি থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। বলছে, প্রতি বিঘার ধান কাটতে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমির পাকা ধান ঝুঁকিতে রয়েছে। সিলিমপুর ও গাজীরহাটের প্রায় ৪০টি মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ লুট করেছে। এর মধ্যে তাদেরই ১০টি ঘের রয়েছে।
নিহত হাসিমের বাবা মামলার বাদী কাদের মোল্যার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ফোন রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কেটে দেন। ফের ফোন করলে এক নারী রিসিভ করে পরে কথা বলবেন বললেও তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কালিয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জমি থেকে ধান কাটা কি আমাদের দেখার বিষয়? এ বিষয়ে মতামত দেওয়া সম্ভব নয়।’
লোহাগড়ায় ঈদুল ফিতরের দিন গত ৩১ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা আকবর শেখ (৭৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর, বিভিন্ন সামগ্রী ও গবাদি পশু লুটপাট হয়। এখন বোরো ধান কাটা শুরু হলেও আসামিপক্ষের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অন্তত ৬০ বিঘা জমির ধান কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৬০ বিঘা জমির পাট পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হওয়ার পথে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামের মনিরুল জমাদ্দার ও মিল্টন জমাদ্দার পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লাহুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরান সিকদারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার নুরুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মামলার আসামি জাকির হোসেনের ৫০ শতাংশ জমির ধান পাকলেও কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দুই একর পাট সেচ ও পরিচর্যার অভাবে নষ্টের পথে। এক প্রতিবেশী তাঁর ভাইয়ের ৫ শতাংশ জমির গাছ কেটে ঘর তৈরি করবে বলে শুনেছেন।
উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান সিকদার রুনুর ভাষ্য, আসামিপক্ষের কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ধান কাটবে কীভাবে? হত্যাসহ চারটি মামলা করেছে। আসামির সংখ্যা দেড় শতাধিক, তারা বাড়িছাড়া। ফলে ২০০ বিঘা জমির ধান কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আকবর শেখের ভাতিজা শরিফুল ইসলাম বললেন, ‘আমাদের পক্ষের কেউ বাড়ি ভাঙচুর বা লুটের সঙ্গে জড়িত নয়। এলাকায় আসতে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। যার ধান সেই কাটবে। সেখানে আমাদের বাধা দেওয়ার কী আছে।’
এলাকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো বলে দাবি লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক তুহিনের। তিনি বলেন, যাদের নামে মামলা রয়েছে, তারা এলাকায় ঢুকতে পারছে না। আসামিপক্ষের এলাকায় প্রবেশ এবং জমির ধান কাটার বিষয়ে সমঝোতা হলে ভালো হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ