আজ থেকে টানা ৪০ দিন ছুটি, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতদিন
Published: 2nd, March 2025 GMT
আজ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হচ্ছে ছুটি। পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে অন্তত টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ রোববার থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে আগামী ৮ এপ্রিল। এই ছুটি সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ থেকে, শেষ হবে ৮ এপ্রিল। পবিত্র রমজান শুরু হয়েছে আজ। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বশেষ ক্লাস হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। সে হিসাবে টানা ৪০ দিন বন্ধ থাকছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া ১০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলোর ছুটি আরও দীর্ঘ হবে।
ছুটির ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। রমজান, ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার ছুটি মিলে লম্বা ছুটি থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, এসব ছুটির ঘোষণা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ এপ্রিল।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মো.
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এবারের প্রথম ছুটি শবে মিরাজের। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এই ছুটি ২৮ জানুয়ারি। এ বছর সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া মোট ৭৮ দিন ছুটি থাকবে স্কুলে।
প্রকাশিত তালিকায় থাকা দীর্ঘ ছুটিগুলো হলো- পবিত্র রমজান মাসের ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। ঈদুল ফিতর, জুমাআতুল বিদা, শবে কদর, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রতসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে সে সময় টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল। এই দীর্ঘ ছুটির পরে ৬ এপ্রিল থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এবারের প্রথম ছুটি শবে মিরাজের ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ ছুটি ২৮ জানুয়ারি। আগামী বছর সাপ্তাহিক (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া মোট ৭৬ দিন ছুটি থাকবে স্কুলে।
প্রকাশিত তালিকায় থাকা দীর্ঘ ছুটিগুলো হলো—পবিত্র রমজান মাসের ছুটি (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। ঈদুল ফিতর, জুমাআতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে সে সময় টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল। এই দীর্ঘ ছুটির পরে ৮ এপ্রিল থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে স্কুলে।
পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও টানা ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ছুটি। এ ছুটি শুরু হবে ১ জুন থেকে, চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত।
দুর্গাপূজায় এবার ছুটি আট দিন (২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর) পর্যন্ত ছুটি থাকবে স্কুল। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে।
প্রতিবছরের মতো এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিন দিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজনে এই ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।
কলেজের ছুটি
চলতি বছর কলেজগুলোতে ছুটি থাকবে ৭১ দিন। এর মধ্যে ২ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস, জুমাআতুল বিদা, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলে একটানা ২৫ দিন বন্ধ থাকবে কলেজগুলো।
কলেজগুলোয় শীতকালীন অবকাশ হিসেবে ১৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৪ দিন কলেজ বন্ধ থাকবে। ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম, দুর্গাপূজা, বিজয়া দশমী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ দিন ছুটি থাকবে। কলেজের ছুটি তালিকায় ঈদুল আজহায় ৩ জুন থেকে ১২ জুন মোট আট দিন ছুটি থাকবে।
এদিকে চলতি বছরে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলগুলো ৭৬ দিন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৮ দিন ও মাদ্রাসা ছুটি থাকবে ৭৫ দিন।
মাদ্রাসায় ছুটি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, মাদ্রাসায় এ বছর ছুটি থাকবে মোট ৭৩ দিন। এ বছর মাদ্রাসায় প্রথম ছুটি শবে মিরাজের ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ ছুটি ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি বহাল থাকছে।
ইবতেদায়ী ও দাখিল স্তরের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা তিন দিন আগে শেষ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী পরীক্ষা ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ বলছে, হাওর অঞ্চলের বোরো ধান কাটা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তাই হাওর অঞ্চলের মাদ্রাসাপ্রধানেরা মোট ছুটি ঠিক রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি থেকে সমন্বয় করে উল্লিখিত সময়ে ১০ শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা যাবে।
পবিত্র রমজান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমআতুল-বিদা, লাইলাতুল কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোট ছুটি ৩০ দিন রাখা হয়েছে।
অপর দিকে পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত। আর দুর্গাপূজা ও ফাতেহা-ই–ইয়াজদহমে ছুটি ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন ও শীতকালীন অবকাশ উপলক্ষে ১৪ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ১২ মে শুরু করে ৩০ মে শেষ করতে বলা হয়েছে। ১৬ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ করতে হবে। ১০ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
ছুটির তালিকার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে মাদ্রাসা ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। কাউকে সংবর্ধনার জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, যেমন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসে বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দিবসটি উদ্যাপন করতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ন অবক শ পর ক ষ র শ ষ করত ব সরক র উপলক ষ বর থ ক ৪০ দ ন র পর য অন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
ভেড়াডহর গ্রামে উরিগানের আসরে
এক পক্ষে প্রায় ৫০০ মানুষ। আরেক পক্ষে অন্তত ৭০০। চলছে পাল্টাপাল্টি গানের লড়াই। তা দেখতে জড়ো হয়েছেন আরও হাজারো নারী-পুরুষ। মধ্যচৈত্রের চামড়াপোড়া গরমে শিল্পী-দর্শনার্থী সবাই দরদর করে ঘামছেন। কিন্তু বিরামহীনভাবে দুই পক্ষই পাল্লা দিয়ে গান গাইছে। কোনো পক্ষই অন্য পক্ষকে ‘বিনা যুদ্ধে’ ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ ছাড় দিতে নারাজ!
ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন গানের লড়াই চলে সুনামগঞ্জের হাওর-অধ্যুষিত শাল্লা উপজেলার ভেড়াডহর গ্রামের নতুন হাটিতে। সেদিন ছিল ১৪৩১ বঙ্গাব্দের ১৪ চৈত্র। খ্রিষ্টাব্দের হিসাবে ২৮ মার্চ ২০২৫। খুব সকালে সিলেট থেকে রওনা দিই। সঙ্গী ছিলেন বন্ধু প্রদীপ রঞ্জন বৈষ্ণব ও সংবাদকর্মী দীপ্ত বৈষ্ণব। প্রদীপের গ্রামের বাড়ি মুছাপুর। তাদের গ্রামের পাশেই ভেড়াডহর। মূলত প্রদীপের আমন্ত্রণেই সেখানে উরিগান দেখতে যাওয়া।
হিন্দুধর্মীয় উৎসব দোলযাত্রাকে উপলক্ষ করে বসন্তকালে গাওয়া হয় উরিগান। এসব গান ‘হোরিগান’ বা ‘দোলের গান’ নামেও পরিচিত। বিশেষত সুনামগঞ্জের শাল্লা, দিরাই ও জগন্নাথপুর, হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন আর নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলায় উরিগানের প্রচলন বেশি। এর বাইরেও হাওরাঞ্চলের নানা গ্রামে দোল উৎসবে উরিগান গাওয়া হয়। তবে বৈষ্ণব ও কৈবর্ত সম্প্রদায়ভুক্তদের মধ্যে এ গানের চর্চা তুলনামূলকভাবে বেশি।
কবিগান কিংবা মালজোড়া গানের মতোই উরিগান হলো প্রতিযোগিতামূলক গান। পার্থক্য কেবল এটাই, কবিগান ও মালজোড়াগানের আসর বসে গ্রামীণ মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য, অন্যদিকে উরিগান পরিবেশিত হয় অনেকটা হিন্দুধর্মীয় আচার-রীতির অংশ হিসেবে। অবশ্য আরেকটু পার্থক্য রয়েছে, কবিগান ও মালজোড়া গানে মাত্র দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী পাল্টাপাল্টি গান-কথায় বাহাস জমান, বিপরীতে উরিগানে একেকটি পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কমসে কম কয়েক শ শিল্পী থাকেন! এমন বর্ণিল আর প্রাণবন্ত গানের ধারা সংগীত-সংস্কৃতিতে কমই আছে।
উরিগানকে সংগীতের একটি পরিচ্ছন্ন ধারা বলে মনে করা হয়ে থাকে। এ গানের চারটা পর্ব রয়েছে—ঝুমুরগান, লাসগান, চাইলগান ও চলতিগান। এসব মূলত নারীবর্জিত গানের ধারা। পুরুষেরাই নৃত্যসংবলিত এ গানের শিল্পী। বাড়ির উঠানে কিংবা মাঠে সমবেতভাবে কয়েক শ শিল্পী একই সঙ্গে এ গান পরিবেশন করেন। এক পক্ষের পরিবেশনার পর অপর পক্ষ একই আঙ্গিকের পাল্টা গান পরিবেশন করেন। এভাবেই দিনভর গান শেষে উপস্থিত দর্শনার্থীদের বেশির ভাগের মতামতের ভিত্তিতে একটি পক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নারীরা উরিগানে অংশ না নিলেও শ্রোতা হিসেবে তাঁদের অংশগ্রহণ ঠিকই থাকে।
২.
ভেড়াডহর গ্রামে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের দুপুর হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য গ্রামটিতে পৌঁছার আগেই প্রদীপের সুবাদে প্রাথমিক অনেক তথ্য জানা হয়ে যায়। যেমন ভেড়াডহর গ্রামবাসীর আমন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দারা উরিগান গাইতে ভেড়াডহরে এসেছেন। রীতি অনুযায়ী এক গ্রামের মানুষ আরেক গ্রামের মানুষকে উরিগান গাইতে আমন্ত্রণ জানান। সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে নির্দিষ্ট ওই গ্রামের পুরুষদের প্রায় সবাই সাতসকালে গাইতে আসেন।
পরম্পরা অনুযায়ী কবিরপুর গ্রামের মানুষেরাও সেদিন সাতসকালে ঝুমুরগান গাইতে গাইতে নিজেদের গ্রাম থেকে ভেড়াডহর গ্রামে প্রবেশ করেন। ভেড়াডহর গ্রামে ঢুকে ঝুমুরগান গেয়ে তাঁরা মূলত নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন। দুপুরে পৌঁছার কারণে সে আনুষ্ঠানিকতা আমাদের দেখা হয়নি, তবে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মানুষের আলাপ থেকে তা ঠিকই জেনে যাই। আমরা যখন গ্রামটিতে পা রাখি, ততক্ষণে লাসগানের পরিবেশনা শুরু হয়েছে।
হিন্দি-বাংলামিশ্রিত লাসগান মগ্ন হয়ে গাইছেন কবিরপুর গ্রামের শিল্পীরা। লাসগান শেষ করেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে কয়েক শ মানুষ সমবেত কণ্ঠে চাইলগান পরিবেশন করেন। চাইলগানে নৃত্যসংবলিত শারীরিক কসরতের পাশাপাশি শিল্পীরা দুই হাত ওপরে তুলে হর্ষধ্বনিসহযোগে লাফানোর মতো করে অনবদ্য এক দৃশ্যের জন্ম দেন। তাঁদের পরিবেশনার পর একই রকমভাবে ভেড়াডহরের গ্রামবাসীও গানে গানে কবিরপুরবাসীকে পাল্টা জবাব দেন।
শিল্পীরা জানান, ভেড়াডহরের লোকেরা উরিগানের আয়োজক হওয়ায় রীতি অনুযায়ী তাঁরা রাইপক্ষ, আর কবিরপুরের মানুষ আমন্ত্রিত দল হওয়ায় তাঁরা শ্যামপক্ষ। সে ধারা মোতাবেকই গান পরিবেশিত হয়।
উরিগান উপলক্ষে এভাবেই সাজানো হয়েছিল দোলবেদি