ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন বিদ্যা বালান
Published: 2nd, March 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ডিপফেক প্রযুক্তি তারকাদের কাছে ক্রমশ এক অভিশাপের নাম হয়ে উঠছে। কেননা এই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সেলিব্রিটিদের ভুয়া পর্নো বা আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। কখনো কখনো অবৈধ ব্যবসার কাছে তারকাদের এসব ভিডিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালানের কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্ক্যাম এলার্টের এই ভিডিওতে দেখা যায়, সোফায় বসে আছেন বিদ্যা বালান। এরপর তিনি বলতে শুরু করেন, “আমি আপনাদের প্রিয় বিদ্যা বালান…।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বিদ্যা বালানেরও নজরে পড়েছে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে এ অভিনেত্রী জানান, ভিডিওটি কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি।
আরো পড়ুন:
অর্থপূর্ণ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া মুশকিল: জিনাত আমান
যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন হামলা: আটক হন সুনীল শেঠি
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বিদ্যা বালান বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে আমার ছবি দেখা যাচ্ছে। যা হোক, আমি সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, এসব ভিডিও কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি করা। এসব ভিডিও তৈরি বা প্রচারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, আমি কোনোভাবেই এই বিষয়কে সমর্থন করি না।”
সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিদ্যা বালান বলেন, “ভিডিওগুলোতে যেসব বক্তব্য আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে, তা করা উচিত নয়। কারণ এটি আমার মতামত বা কাজের প্রতিফলন নয়। কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট শেয়ার করার আগে, সেই তথ্য যাচাই করা উচিত।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ ধ মত ত এসব ভ ড ও
এছাড়াও পড়ুন:
কিছু মানুষ ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়ে আছে: স্বস্তিকা
পশুপাখি নিয়ে কাজ করেন টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সম্প্রতি পশুপ্রেম এবং তাদের নিয়ে কাজ করার জন্য সম্মানিতও হয়েছেন তিনি। এর ঠিক পর শেয়ার করেন একটি ইঙ্গিত পূর্ণ পোস্ট, যা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু কিছু মানুষ ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়েই আছে। ধর্ষণ করছে, খুন করছে। আমাদের মেয়েদের ভয় লেগেই আছে বাস, ট্রেন, অফিস-বন্দর, বাড়ি কি স্কুল-কলেজে। কি করছেন সেটার ব্যাপারে যদি একটু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্লিজ!’
অনেকেই এদিন অভিনেত্রীর পোস্টে মন্তব্য করেছেন। কেউ তাকে সমর্থন করেছেন। কেউ আবার সমালোচনা করেছেন।
এক ব্যক্তি অভিনেত্রীর ভাবনার বিরোধিতা করে লেখেন, ‘রাস্তার কুকুর মাঝেমধ্যেই কামড়ায়। সেই কামড় খেলে যে ইঞ্জেকশন খেতে হয় বেশিরভাগ হাসপাতালে সেই ওষুধ পাওয়া যায় না। আমিও কুকুরপ্রেমী। কুকুর থেকে ভয় পাওয়ার সাথে খুন-ধর্ষণকে জুড়ে দেওয়ার ন্যাকামিটা হাস্যকর লাগলো। রাস্তার কুকুরের ভ্যাক্সিনেশন, স্টেরিলাইজেশন, হাসপাতালে ওষুধ মজুত রাখার জন্য জনগণ যাদের পয়সা দিয়ে পোষে, সেই সরকারী মন্ত্রী সান্ত্রীদের সঙ্গে যখন পরের বার ওঠবস করবেন, তখন তাদের এই লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে এই বিষয়ে অনুরোধ জানানোর অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম। আপনি সেলিব্রেটি। আপনার কথায় কাজ হতে পারে।’
তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, মানুষ অন্যায় করলে তো একটা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে বিচার হয়। কুকুর ভুলভাবে নিরীহ মানুষকে কামড়ালে তার বিচার কোথায় হয়? আপনি তুল্যমূল্যটায় আনলেন তাই বললাম।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'প্রসঙ্গ যাই হোক না কেন এই মহিলার সব সময় রেপ ভিকটিম কার্ড খেলতেই হয়।
অনেকেই আবার স্বস্তিকাকে সমর্থন করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘একদম ঠিক কথা বলেছেন।’ দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, ‘সপাটে সত্যি কথা বলে দিলেন।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এদিন একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই তিনি জানালেন নির্বাকদের কণ্ঠ হয়ে ওঠার জন্য এই সম্মান পেয়েছেন। স্বস্তিকা লেখেন, ‘এই পুরস্কারটা আমার জীবনের সাবিত্রী এবং ফুলকিদের জন্য।’