ভারতের হিমালয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে প্রবল তুষারপাতে অন্তত চারজন মারা গেছে। এছাড়া আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার তিব্বত সীমান্তবর্তী মানা গ্রামে তুষারপাতে ভেসে যান সড়ক নির্মাণ শ্রমিকরা। সেখান থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন। হেলিকপ্টারে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আহতদের মধ্যে ১৯ জনকে সেখানকার একটি আর্মি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের পিঠে, মাথায়, হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ফুট উচ্চতার তুষারের মধ্যে ভেসে যাওয়া আহত কয়েকজনকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।  

তুষারপাতের সময় সড়ক নির্মাণ কর্মীরা একটি ক্যাম্পে ছিলেন জানিয়ে মানার সাবেক গ্রাম কাউন্সিল সদস্য গৌরব কুনওয়ার জানিয়েছেন, ওই স্থানটি যাযাবরদের এলাকা। সেখানে স্থায়ীভাবে কেউ বসবাস করে না। সীমান্তের সড়কে কাজ করা শ্রমিকরা শীতকালে সেখানে থাকে, কিছু সেনা সদস্যও মোতায়েন রয়েছে সেখানে। 

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের একটি ক্যাম্পে তুষারপাতের পর উদ্ধারকারী দল ‌উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

এদিকে সেখানে ভারি বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মিরের বেশ কয়েকটি জেলায় তুষারপাতের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ