খেলবে এক দল, ভারতের কারণে দুবাইয়ে গেল দুই দল
Published: 2nd, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়া দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে শুক্রবার। আর দক্ষিণ আফ্রিকার নিশ্চিত হয়েছে শনিবার। দুই দলই এখন পাকিস্তান ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলে গেছে। অথচ সেখানে সেমিফাইনাল খেলতে পারবে একটি দল। আরেকটি দল দুবাই ঘুরে না খেলেই আবার পাকিস্তানেই ফিরে আসবে।
খেলা এক দলের হলেও অন্য দলটিকে দুবাইয়ে আসা-যাওয়া করা লাগছে ভারতের কারণে। গ্রুপ পর্বে ভারতের অবস্থান যেমনই হোক, রোহিত শর্মারা তাদের সেমিফাইনাল খেলবেন দুবাইয়ে। আর তাদের এক জায়গায় অবস্থান নিশ্চিত করতে গিয়েই অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি দলকে খেলা বাদেই ২ হাজার কিলোমিটার বিমানপথ যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হলেও দেশটিতে দল পাঠাতে রাজি হয়নি ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সংস্থাটি আইসিসিকে জানিয়েছে, ভারত সরকার পাকিস্তানে ক্রিকেট দল পাঠানোর অনুমতি দেয়নি। এ নিয়ে অচলাবস্থার একপর্যায়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের সমঝোতা হয়। এর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলার সুযোগ পায়।
অংশগ্রহণকারী অন্য ৬ দল পাকিস্তানে গেলেও ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্য তাদের দুবাইয়ে যেতে হয়েছে।
মোট দুটি গ্রুপে খেলা হচ্ছে এবার। ‘এ’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। আর ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তবে গ্রুপে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচটি বাকি আছে। এই ম্যাচেই চূড়ান্ত হবে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন ও গ্রুপ-রানার্সআপ কে হচ্ছে। গ্রুপে অবস্থান চূড়ান্তের সেই ম্যাচটি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আজ।
নিয়ম অনুযায়ী সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ, আর ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। এরই মধ্যে ‘বি’ গ্রুপের সব ম্যাচ শেষ। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা দক্ষিণ আফ্রিকা, ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া।
এখন ভারত যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হবে অস্ট্রেলিয়া, আর হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হলে প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টুর্নামেন্টের যে সূচি, তাতে দুবাইয়ে ভারতের সেমিফাইনাল রাখা হয়েছে ৪ মার্চ। অর্থাৎ, ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর মাঝে বিরতি মাত্র এক দিন। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা যদি সেমিফাইনালের ভেন্যু নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করত, সে ক্ষেত্রে আজ রাতে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের ফল দেখে তড়িঘড়ি বিমানে চড়তে হতো এক দলকে। আর দুবাইয়ে পৌঁছে সেমিফাইনালের প্রস্তুতির জন্য সময় পেত মাত্র এক দিন। যে দুবাইয়ে এবারের আসরে দল দুটি এখন পর্যন্ত খেলেনি।
ভারতের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে প্রস্তুতির সুযোগ বাড়িয়ে দিতেই অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলকেই আগেভাগে দুবাইয়ে উড়িয়ে নিয়েছে আইসিসি। আজ রোহিত শর্মারা নিউজিল্যান্ডকে হারালে অস্ট্রেলিয়া দুবাইয়েই থেকে যাবে, আর দক্ষিণ আফ্রিকা এক বেলা অনুশীলন করেই চলে যাবে লাহোরে। সঙ্গে যাবে ৫ তারিখ সেখানে হতে যাওয়া সেমিফাইনালের আরেক দল নিউজিল্যান্ডও। আবার রোহিতরা কিউইদের কাছে হারলে দক্ষিণ আফ্রিকাই দুবাইয়ে থেকে যাবে, অস্ট্রেলিয়া লাহোরে ফিরবে কিউইদের বিপক্ষে খেলার জন্য।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা—যে কোনো একটি দলের জন্য দুবাইয়ে যাওয়া-আসা হবে শুধু অনুশীলনের জন্য।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র র ন র সআপ অবস থ ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।