স্ত্রী ব্যাঙ মৃত্যুর অভিনয় করে কেন
Published: 2nd, March 2025 GMT
বলা হয় স্ত্রী ব্যাঙের নাক অনেক উঁচু। সব পুরুষ সঙ্গীকে তাদের পছন্দ না। কিন্তু পুরুষ ব্যাঙ কি আর তাদের কথা শোনে? জোর করে প্রেম আদায় করার সময় স্ত্রী ব্যাঙ মূর্ছা যায়, মৃত্যুর ভান করে। জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত জাদুঘর ফার ন্যাচারকুন্ডের গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলেন, স্ত্রী ব্যাঙ প্রায়ই অবাঞ্ছিত প্রেমিকদের এড়াতে মৃত্যুর ভান করে। অসাধারণ এক অভিনয়ের মাধ্যমে তারা নিজের মৃত্যুর ভান করে অবাঞ্ছিত প্রেমিকদের এড়িয়ে চলে।
সাধারণভাবে কিছু ব্যাঙ প্রজাতির প্রজননকাল কম। প্রজননকাল কম বলে অনেক বেশি সঙ্গমের প্রয়োজন হয় তাদের। সাধারণত বসন্তকালে পুরুষ ব্যাঙ ও স্ত্রী ব্যাঙের মধ্যে সঙ্গম বেড়ে যায়। তবে কিছু স্ত্রী ব্যাঙ এ ক্ষেত্রে দূরে থাকতে চায়। তারা প্রতিবছর প্রজননে অংশ নিতে আগ্রহ দেখায় না। আর প্রকৃতিতে পুরুষ ব্যাঙের সংখ্যা স্ত্রী ব্যাঙের চেয়ে বেশি বলে প্রবল প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। অনেক পুরুষ ব্যাঙ একটি স্ত্রী ব্যাঙের জন্য লড়াই করে। পুরুষ ব্যাঙের জোরপূর্বক মনোযোগ আকর্ষণের ফলে স্ত্রী ব্যাঙ প্রায়ই মারা যাওয়ার ভান করে। আগে মনে করা হতো, অবাঞ্ছিত আক্রমণের কারণে স্ত্রী ব্যাঙ অসহায় হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে মৃত্যুর ভান করে তারা।
আক্রমণাত্মক পুরুষ ব্যাঙের সংস্পর্শে আসার পরে স্ত্রী ব্যাঙ মৃত্যুর ভান করে। একে টনিক ইমমোবিলিটি বলে। এ অবস্থায় স্ত্রী ব্যাঙ তাদের হাত ও পা শক্ত করে সটান হয়ে শরীর স্থির করে ফেলে। পুরুষ ব্যাঙ তাদের ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত স্ত্রী ব্যাঙ স্থির থাকে। গবেষকেরা মনে করছেন, ব্যাঙের রক্তে কর্টিকোস্টেরনের উপস্থিতি এ সময় বেড়ে যায়। অবাঞ্ছিত পুরুষ ব্যাঙের সঙ্গে লড়াই করতে আগ্রহ থাকে না স্ত্রী ব্যাঙের। তাই স্থির হয়ে মৃত্যুর ভান করে তারা। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৪৬ শতাংশ স্ত্রী ব্যাঙ এই কৌশলে পালিয়ে যায়।
সূত্র: এ-জেড অ্যানিমেলস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত য র ভ ন কর অব ঞ ছ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’
সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে গত বছর নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ব্যান্ড অড সিগনেচারের। এতে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল ও মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন ব্যান্ড সদস্য আহত হন। এরপর ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ভক্তরা নিয়মিতই ‘অড সিগনেচার’কে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না সদস্যদের। তবে এবার ভক্তদের জন্যই ফিরছে ব্যান্ডটি। চলতি মাসেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘অড সিগনেচার’।
ব্যান্ডটির কি–বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মাসেই ফিরছি। কবে ফিরছি, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষেই সবকিছু জানা যাবে।’
গত পরশু ফেসবুক পোস্টে ‘অড সিগনেচার’–এর ফেরার ঘোষণা আপ্লুত করেছে ভক্তদের। মন্তব্যের ঘরে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘উদ্গ্রীব হয়ে অপেক্ষায় আছি, আমার প্রথম আবেগ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না।’ প্রয়াত ব্যান্ড সদস্য পিয়ালকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘পিয়াল ভাইকে অনেক মিস করব।’
২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার, বিশেষ করে তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ‘আমার দেহখান’ গান অড সিগনেচারের অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।