Risingbd:
2025-04-28@02:53:57 GMT

মৌলভীবাজারে লোকালয়ে হরিণ আটক

Published: 2nd, March 2025 GMT

মৌলভীবাজারে লোকালয়ে হরিণ আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লোকালয়ে আসা চিত্রা হরিণ ধরা পড়েছে স্থানীয়দের হাতে। পরে হরিণটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, বন থেকে দলছুট একটি চিত্রা হরিণ কমলগঞ্জের সদর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের গন্ডামারা এলাকার রাজা মিয়ার বাড়িতে আটক করে রাখা হয়।

এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে কয়েকদিন আগে আগুন লাগে। হয়তো আগুনের তাপের কারণে বন থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে এসেছে। পরে হরিণটিকে আটক করে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, “উদ্ধারকৃত হরিণটি সুস্থ থাকলে রাতে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, হরিণটি পাশের বন বিট এলাকা থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে এসেছিল।”

ঢাকা/আজিজ/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুগ্ধতা ছড়ানো মণিপুরিদের প্রাচীন উৎসব ‘লাই হারাওবা’

খোলা মাঠ পার হয়ে দমকা হাওয়া আছড়ে পড়ছে গাছে গাছে। হাওয়ায় ঝুমুর নাচে দুলে উঠছে গাছের শাখা-প্রশাখা। বাতাস বৈশাখের ভ্যাপসা গরমকে তেতে উঠতে দিচ্ছে না। একটা মনোরম, মন ভালো করা বিকেল তৈরি হয়েছে গ্রামে। মাঠের মধ্যে কিছু ভ্রাম্যমাণ দোকান বসেছে। খেলনা ও প্রসাধনীর দোকান। আছে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুভাজি, ঝালমুড়ি, চানাচুরসহ নানা রকম মুখরোচক খাবারের দোকানও।

বিকেলটা যত নুয়ে পড়ছে সন্ধ্যার দিকে, গ্রামের কাঁচা-পাকা পথ ধরে তত নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ নানা শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শিশু, কিশোরী, তরুণী অনেকের খোঁপায় দুলছে ময়ূরের পেখমের মতো পালক। তারা অংশ নেবে নাচে, সে জন্য এ প্রস্তুতি। রঙিন হয়ে উঠেছে বিকেলটি। এই আয়োজন, ভিড় তৈরি হয়েছে একটি উৎসবকে ঘিরে। মণিপুরি জনগোষ্ঠীর একটি প্রাচীন ও তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ‘লাই হারাওবা’ বা ‘দেবতাদের আনন্দ’ উৎসব এখানে ডাক দিয়েছে সবাইকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তেতইগাঁওয়ে অবস্থিত মণিপুরি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এমন ভিড় জমেছিল। আগের দিন তিন দিনের এই উৎসব শুরু হয়। এর পর থেকে চলছে নানা আচার-অনুষ্ঠান। শেষ হয় আজ শুক্রবার। এতে অর্থায়ন করেছে ইউনেসকো-আইসিএইচ, উৎসব বাস্তবায়নে ছিল বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। সহযোগিতা ও পরিচালনায় ছিল আইসিএইচ পিডিয়া বাংলাদেশ (সিআইবি), সাধনা-দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির অগ্রগতি কেন্দ্র।

বিকেলটা ঘনিয়ে আসতে থাকলে জমে ওঠে মণিপুরি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ। ক্রমে শ্রোতা-দর্শকে পূর্ণ হয়ে ওঠে শামিয়ানার নিচে পেতে রাখা খালি চেয়ারগুলো। আচার-অনুষ্ঠান, নাচে অংশ নিতে কুশীলবেরাও সক্রিয়, সচল হয়ে ওঠেন। ঢোল-খোল, বাঁশিসহ নানা বাদ্যযন্ত্রের সুর বেজে ওঠে, প্রাঙ্গণজুড়ে চলতে থাকে সুরের ঝংকার। বাইরে সন্ধ্যার আঁধার নামলে উন্মুক্ত মঞ্চে উপস্থিত হন সমবেত শিল্পীরা। ক্রমে নারী, তরুণী ও শিশু-কিশোরীরা নৃত্যে অংশ নিতে থাকেন। গান ও সুরের তালে, নানা মুদ্রায় দীর্ঘ সময় ধরে নাচ চলতে থাকে। একটা সময় অনেকজনের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত মঞ্চটি জলতরঙ্গের মতো দুলতে থাকে, ভাসতে থাকে। একদিকে খোলা হাওয়া, অন্যদিকে গান ও সুরের মূর্ছনা সন্ধ্যাটিকে প্রার্থনার মতো স্নিগ্ধ মুগ্ধতায় ডুবিয়ে রাখে।

ঢেউতরঙ্গে চলছে নাচ। বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিখোঁজের এক দিন পর রেললাইনের পাশে লাশ উদ্ধার, স্বজনদের অভিযোগ হত্যাকাণ্ড
  • মুগ্ধতা ছড়ানো মণিপুরিদের প্রাচীন উৎসব ‘লাই হারাওবা’