আগামী ছয় সপ্তাহের জন্য ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে ইসরায়েল সরকার।

মুসলমানদের পবিত্র রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসব এই মেয়াদকালের আওতায় পড়েছে। গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে গতকাল শনিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। আর ইহুদিদের উৎসবটি শুরু হবে ১২ এপ্রিল। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ গতকাল মধ্যরাতে শেষ হয়। এরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদনের ঘোষণা দেয়।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাবটি দেন। প্রস্তাবের অধীনে গাজায় হামাসের হাতে এখনো থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অর্ধেক প্রথম দিনে মুক্তি পাবেন। এই জিম্মিদের মধ্যে জীবিত ও মৃত উভয়ই থাকবেন।

যদি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, তাহলে বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন বলে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে।

ইসরায়েলের সবশেষ এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে ইসরায়েল সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। চার ঘণ্টার বৈঠকের পর ইসরায়েল সরকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়।

গত শুক্রবার রাতে হামাস বলে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হবে, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া তারা প্রথম ধাপের কোনো সম্প্রসারণে সম্মত হবে না।

গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল।

আরও পড়ুনরমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের প্রতিবাদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শেয়ারবাজারের বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে এই বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীরা শেয়ারবাজারের পতনের জন্য বিএসইসির ব্যর্থতাকে দায়ী করে কমিশনের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় ৩০ মিনিট বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ শেষে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে একটি মিছিলও বের করেন। মিছিলটি মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে তাঁরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।

বিক্ষোভকালে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত আট মাসে পুঁজিবাজারের সূচক শুধু নিচেই নেমেছে, ওপরে উঠে নাই। এই সময় সূচক প্রায় নয় শ পয়েন্ট কমেছে। টানা এই দরপতনে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে পতন চলতে থাকায় বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৮ লাখ থেকে কমে ৭ লাখে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুঁজি হারিয়েছেন।’

বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণে আলটিমেটামও ঘোষণা করেন। বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা জানান, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যদি বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা আমলের সুবিধাভোগীরাও বিএসইসিতে সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদেরও অপসারণ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ