আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের সকালে ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৬৭। আর বিশ্বের ১২৩ নগরীর মধ্যে ঢাকা আজ দূষণে ৭ম।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে বায়ুর মান ১৩১, রাজশাহীতে ১৫৭ ও খুলনায় ১১৭।

বায়ুদূষণে আজ প্রথম স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াংগুন। এ শহরের স্কোর ১৯৮।
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে বেচারাম দেউড়ি (১৯৯), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৯০) ও বে’জ এজওয়াটার (১৮৩)।

রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ না করার অনুরোধ ডিএমপির

রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল দাবি-দাওয়া আদায়, প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করছেন। এতে করে ঢাকা মহানগরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অফিসগামী যাত্রীরা নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ রোগী পরিবহনে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, যানজট কমানোর জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে। তারপরও সড়ক অবরোধ করার মতো ঘটনায় ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় নগরবাসীর বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অহেতুক সড়ক অবরোধ করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এর আগেও সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে দেয় ডিএমপি।

মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ