লা লিগার শীর্ষস্থানে ওঠার সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সামনে। তবে রিয়াল বেতিস সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। শনিবার রাতে নিজেদের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভিনিসিয়াস-এমবাপ্পেদের রীতিমতো আটকে রেখে ২-১ গোলে হারিয়েছে বেতিস।

বেতিসের মাঠে অবশ্য প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়ালই। ম্যাচের ১০ মিনিটেই ব্রাহিম দিয়াজের গোলে লস ব্লাঙ্কোসরা এগিয়ে যায়। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় বেতিস। জনি কারদোসো এবং ইসকোর গোল নিশ্চিত করে তাদের দারুণ জয়।

পুরো ম্যাচে স্বাগতিকরা আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়েছে। বেতিসের ১৮টি শটের মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে, যার ২টিই জালে জড়িয়েছে। অন্যদিকে রিয়াল মাত্র ৯টি শট নিতে পেরেছে, যার মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে। ভিনিসিয়াস, এমবাপ্পে ও রদ্রিগোর মতো তারকারা বেশিরভাগ সময়ই বেতিসের জমাট রক্ষণভাগের সামনে নিষ্প্রভ ছিলেন।

এই হারের ফলে পয়েন্ট টেবিলে ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। ২৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫৪ পয়েন্ট, যা তাদের নামিয়ে দিয়েছে তিন নম্বরে। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সমান ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা উঠে গেছে দুই নম্বরে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।

আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।

গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।

এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?

এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ