শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পিটুনির ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পালং মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে মামলা দুটি করেছেন।

মামলায় আসামি হিসেবে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে আহত পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

ওই পিটুনির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজন গত শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলে ও একজন গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আহত পাঁচজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় কীর্তিনাশা নদীর তীরে ওই পিটুনির ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়ে ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আট ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত একজনের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তাঁর নাম এবাদুল ব্যাপারী; বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকায়।

আরও পড়ুন‘ডাকাতি’ করে পালানোর সময় নদীতে নেমে ধাওয়া, পাল্টা গুলি-ককটেল, গণপিটুনিতে নিহত ২০১ মার্চ ২০২৫

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বালু পরিবহনের নৌযান বাল্কহেডে হানা দেয় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তখন ওই এলাকার নৌযানের শ্রমিকেরা ও স্থানীয় জনতা তাঁদের ধাওয়া করেন। ওই দলের সদস্যরা গুলি ও ককটেল ছুড়ে স্পিডবোটে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালাতে থাকেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের দাদপুর এলাকা থেকে ডোমসার তেঁতুলিয়া পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই তীরে ও নদীতে নেমে স্থানীয় লোকজন তাঁদের ধাওয়া করতে থাকেন। তখন ওই দলের সদস্যরা স্থানীয় মানুষের ওপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করেন।

আরও পড়ুনকীর্তিনাশা নদীতে ডাকাত-স্থানীয়দের সংঘর্ষ: ‘আমরা ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতেরা গুলি ছোড়ে’১৯ ঘণ্টা আগে

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে যে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের ঢাকা মেডিকেলের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা চলছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনির ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দুটি মামলা করা হয়েছে। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ওই বিষয়ে হত্যা মামলাও করা হবে; সেই প্রস্তুতিও চলছে। নিহত দুজনের মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আরেকজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে আছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে ওই মরদেহগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ট ন র ঘটন র ঘটন য় র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ নিজ দেশে ফিরছেন ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা

ছবি: এএফপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ