টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৬০, মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
Published: 2nd, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
গাজীপুরের টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৬০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে অংশ নেন সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছিনতাই, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে যৌথ বাহিনী পরিচালিত অভিযানে টঙ্গীর মাজার বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, মাদক ও মাদক সেবনের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অর্ধশতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থার উন্নয়নকল্পে জেলা প্রশাসন গাজীপুর, গাজীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও উত্তরা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ যোগ দেন। আপনারা জানেন, মাজার বস্তি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাই রাহাজানিতে এসব এলাকার অনেক মানুষ জড়িত।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আজকে এ অভিযানটি পরিচালনা করি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। সেই সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, সেগুলো উদ্ধার করেছি। চিহ্নিত বেশ কিছু সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবী লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বেশ কিছু মাদকদ্রব্যসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করেছি। সেগুলো আমরা আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করব।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাস ঘিরে এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে আমরা ধারণা করছিল। সে কারণেই আজকের আমাদের এই অভিযান। এ অভিযানের প্রেক্ষিতে আমাদের বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলো গণনা চলছে, গণনা শেষ হলে আমরা বলতে পারব। আজকের এই অভিযানে আমরা আনুমানিক ৬০ জনের মতো মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এবং যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত, চিহ্নিত, আমাদের তালিকাভুক্ত ছিল সেই সমস্ত লোকদের গ্রেপ্তার করেছি। এখানে থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করেছি। গাঁজা, দেশীয় মদ, ইয়াবা থেকে শুরু করে করে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছি। জনজীবনে স্বস্তি না আসা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ডুয়েটে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর সভাপতিসহ ১৫ নেতার পদত্যাগ
গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সভাপতি, সহসভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগী নেতাদের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, ছাত্রলীগকে স্থান দেওয়া, অনুপ্রবেশকারী এবং শিবিরের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেন।
এতে আশরাফুল হককে সভাপতি, রুকন আলীকে সিনিয়র সহসভাপতি, জামিরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং আক্তার হোসেন সিকদারকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যের কমিটি অনুমোদন ঘোষণা করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর রাতেই ওই কমিটির সভাপতি, কয়েকজন সহসভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জন নেতা পদত্যাগ করেন।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ডুয়েটের নবগঠিত কমিটিতে শিবিরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শিবিরের অনুপ্রবেশকারীকে পদায়ন করায় ডুয়েট ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি করা সম্ভব নয়। কমিটিতে শিবিরের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দিলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা আমলে নেয়নি। তা ছাড়া গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানালেও তা মানা হয়নি। পদত্যাগ করা ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক তিনিসহ ১৫ জনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নবগঠিত কমিটিতে শিবিরের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শিবিরের অনুপ্রবেশকারীকে পদায়ন করায় ডুয়েট ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি করা সম্ভব নয়। কমিটিতে শিবিরের সংশ্লিষষ্টতার প্রমাণ দিলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা আমলে নেয়নি।