মায়ের বিরুদ্ধে ৩ বছরের সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 2nd, March 2025 GMT
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আনাস মিয়া নামে ৩ বছরের এক শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই মায়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম আনাস মিয়ার অভিযুক্ত মায়ের নাম শিরিনা বেগম। তার বাবা ডালিম মিয়া সৌদি প্রবাসী।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার হাইরমারা এলাকার শিরিনা বেগমকে বিয়ে করেন ডালিম মিয়া। বিয়ের তিন বছর পর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। এরপর শিরিনা তাদের একমাত্র সন্তান আনাসকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। শনিবার রাতে নিজ ঘরে আনাসকে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান শিরিন বেগম। এ সময় পাশের কক্ষে তারাবি নামাজ আদায় করছিলেন শিশুটির দাদি। চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি নাতির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
শিশুটির দাদি জানাতে পারেননি, কেন শিরিনা নিজ সন্তানকে হত্যা করলেন। ঘটনার পর থেকে পুত্রবধূ পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।
রাতে রায়পুরা থানার পরিদর্শক প্রবীর কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুত করেছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো হবে।
ঢাকা/হৃদয়/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সড়কে নিহত ১০ জনের মধ্যে দম্পতি ঝিনাইদহের বাসিন্দা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী। এ দম্পতির শিশু সন্তান আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া গ্রামে শোক নেমে এসেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মনজুর হোসেন জানান, চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে পাঁচজন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের সকলের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত মাইক্রোবাসটি কক্সবাজারে যাচ্ছিল। নিহতরা সকলে মাইক্রোবাসের যাত্রী।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
চট্টগ্রামে টানা তিন দিন একই স্থানে দুর্ঘটনা, নিহত ১৬
দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মতিন বলেন, নিহত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
গণমাধ্যমে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর প্রকাশের পর নিহত দিলীপ বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া গ্রামে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত দিলীপ বিশ্বাস বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কয়েকজন মিলে কক্সবাজারে ঘুরতে যাচ্ছিলেন।
শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী মারা গেছে। তাদের মেয়ে আরাধ্য বিশ্বাস (৬) আহত হয়েছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল