দিনে দুটি খেজুর খেলে কত উপকার, জানেন?
Published: 2nd, March 2025 GMT
খেজুরে আছে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ফাইটো বা উদ্ভিদ হরমোনসমৃদ্ধ। দিনে দুটি খেজুর খেলে তা বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মলত্যাগে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে ভূমিকা পালন করে।
অনেকের ধারণা, মিষ্টিজাতীয় হওয়ায় খেজুর ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে বরং উল্টো, খেজুর আদতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে।
খেজুরে আছে প্রচুর ক্যালরি। এটি শক্তির ভালো উৎস। সব বয়সের মানুষই খেজুর থেকে এর নানা পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারেন। এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, খেজুর কেন এত উপকারী।
১.ক্ষতিকর বর্জ্য নিষ্কাশন
গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে। এক সপ্তাহ ধরে দিনে দুটি খেজুর খেলে তা হজম ও সঠিকভাবে মলত্যাগে সাহায্য করে। খেজুরের দ্রবণীয় আঁশ মল নরম করে। অন্যদিকে এ ফলের অদ্রবণীয় আঁশ মলের পরিমাণ বাড়ায়। এভাবে খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় আর শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
২. রোগ থেকে বাঁচার রক্ষাকবচখেজুরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে বাঁচাতে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল, অর্থাৎ মুক্ত আয়ন বা মুক্ত মৌল কোষকে ধ্বংস করে বিভিন্ন রোগ তৈরি করে। বলা হয়, একই ধরনের অন্য ফলের তুলনায় খেজুরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডও আছে। ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস, আলঝেইমারস ডিজিজ ও কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরে প্রদাহ রোধে ভূমিকা রাখে। ক্যারোটিনয়েড চোখের অসুখবিসুখ হতে বাধা দেয়। ফেনোলিক অ্যাসিড হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন১ মাস প্রতিদিন ১ গ্যালন পানি খাওয়ার পর তাঁর কী হলো২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণখেজুর টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের হৃদ্স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তীব্র বিস্ফোরণের ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, "বিস্ফোরণের পর পরই স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ শুরু করে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের সময়ও কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মারা যাওয়া চার শিশুর মধ্যে দুই জনের বয়স এক বছরেরও নিচে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন ইয়াদভ। নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/ইভা