কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
Published: 1st, March 2025 GMT
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার সকালে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোলচত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি শাহাদাত হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। ২০০২ সালে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
র্যাব জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের সময় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামি শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং আসামির অবস্থান শনাক্তের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে। পরে দীর্ঘ সাত পর র্যাবের টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের জন্য বৈশ্বিক সহায়তা চান ইমরান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন।
ইমরান খানের নিজের নামে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ আবেদন জানানো হয়। ‘ইমরান খান রাইটস ফ্রম প্রিজন: হোয়াই দ্য ওয়ার্ল্ড মাস্ট পে এটেনশন টু পাকিস্তান’ শিরোনামের লেখাটিতে কারাবন্দী ইমরান খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর ‘রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের’ জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ইমরান আশা প্রকাশ করেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংঘাত ও চরমপন্থার দিকে পরিচালিত করে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধে কাজ করবে।
তবে ইমরান খানের নামে প্রকাশিত নিবন্ধটি আসলেই তাঁর লেখা কি না এবং এটি কীভাবে টাইম ম্যাগাজিনে পৌঁছেছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইমরান খান তাঁর লেখায় পাকিস্তানের ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ এবং গণতন্ত্রের জন্য তাঁর চলমান লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি দেশে গণতন্ত্রের কথিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বর্তমান সময়কে জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইমরান খান জোর দিয়ে বলেন, তাঁর কারাদণ্ড এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি সমর্থনকে দমন করার জন্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, তাঁর সংগ্রাম ব্যক্তিগত নয় বরং গণতন্ত্রের বৃহত্তর ইস্যুকেন্দ্রিক। এর সুদূরপ্রসারী পরিণতি কেবল পাকিস্তানের জন্য নয়, এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ইমরান খান বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট মোকাবিলার গুরুত্ব স্বীকার করতে হবে।
পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন ইমরান। তিনি অভিযোগ করেন, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানের মতো অঞ্চলগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য সেগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে।