Samakal:
2025-04-22@02:28:52 GMT

নিম্নমানের ইট অপসারণ

Published: 1st, March 2025 GMT

নিম্নমানের ইট অপসারণ

মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গুঞ্জর গ্রামে সড়কের কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট ও খোয়া অপসারণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ইউএনও আবদুর রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ পরিদর্শনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অনুপযোগী ইটের খোয়া সরিয়ে শনিবার সকাল থেকে গুণগত মানের ইট দিয়ে ওই সড়কের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করেন। মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের অধীনে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কিলোমিটার সড়কের কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী ওই সড়ক পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান। পরে ঠিকাদারকে সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক ঠিকাদার শুক্রবার নিম্নমানের ইট ও খোয়া সরিয়ে শনিবার থেকে ভালো মানের ইট ও খোয়া দিয়ে পুনরায় সড়কের কাজ শুরু করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ জানান, সড়ক নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ঠিকাদার কাজে অনিয়ম করেছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মুরাদনগর ইউএনও আবদুর রহমান বলেন, নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকার উন্নয়ন কাজে এভাবে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইট ম ন র ইট ব যবহ উপজ ল সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিবন্ধী নারীর অনন্য পাঠশালা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বন্যাবাড়ি গ্রাম। এ গ্রামে এক সাহসী নারীর হাত ধরে গড়ে উঠেছে অসাধারণ এক পাঠশালা। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও দারিদ্র্য, প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক সীমাবদ্ধতা জয় করে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন জয়ন্তী রায়।
৪০ বছর বয়সী জয়ন্তীর জীবন কখনও সহজ ছিল না। তিনি কুঁজো, সোজা হয়ে চলতে পারেন না। ঝুঁকে চলতে হয়। এই প্রতিবন্ধকতার কাছে কখনও তিনি মাথা নিচু করেননি। এসএসসি পাস করেও অর্থাভাবে কলেজে যেতে পারেননি। কৃষক হরিচাঁন রায়কে বিয়ে করে আরও কঠিন এক সংসার জীবন শুরু হয়। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে টানাপোড়েনের সংসারে এক দিন সিদ্ধান্ত নেন– শুধু নিজের জীবনের উন্নতি নয়, এলাকার শিশুদেরও পড়াতে হবে।
বাড়ির উঠানের এক গাছতলায় মাত্র ১০ জন শিশুকে নিয়ে শুরু হয় তাঁর পাঠশালা। শিশুপ্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে নিলেও অনেকেই দিতে পারত ৫০ বা ১০০ টাকা। কিন্তু অর্থ নয়, জয়ন্তীর মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। ঝড়-বৃষ্টি এলে গাছতলার পাঠশালা সরিয়ে নেওয়া হতো পাশের মন্দিরে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হক বন্যাবাড়ি গ্রামে একটি রাস্তার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে দেখে ফেলেন এই অনন্য পাঠশালা। এর পর থেকেই বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। ইউএনও জয়ন্তীকে বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে আর কোনো টাকা নিতে হবে না। উপজেলা অফিস থেকে তাঁর সম্মানী দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেয়েছেন জয়ন্তী। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে তাঁর পাঠশালাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে। এখন জয়ন্তী প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫ হাজার টাকা সরকারি বেতন। পাশাপাশি ইউএনওর উদ্যোগে টিআর প্রকল্পের 
আওতায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি টিনশেড পাঠশালা। লাগানো হয়েছে তিনটি বৈদ্যুতিক পাখাও। জয়ন্তীর বিদ্যালয়ে এখন ৩০ জন শিশু পড়াশোনা করছে।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিশুদের পাঠ নিতে হতো। এখন সুন্দর ঘরে বিনামূল্যে চলছে পাঠদান।
অভিভাবক শিউলী বিশ্বাস ও সবিতা রায় বলেন, জয়ন্তীর পাঠশালায় তাদের ছেলেমেয়েরা অনেক ভালোভাবে পড়াশোনা করছে। আগে যা কল্পনাও করতে পারেননি তারা। দারিদ্র্যের কারণে তারা অনেকেই শিশুদের পড়ানোর জন্য জয়ন্তীকে টাকা দিতে পারতেন না। ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন, তিনি পাঠশালার 
জন্য একটি ঘর ও জয়ন্তীর পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন বিনা বেতনে এ পাঠশালায় তাদের ছেলেমেয়েরা 
পড়াশোনা করছে।
নিজেই এক সময় আলো থেকে দূরে সরে পড়া জয়ন্তী এখন অন্যদের জন্য বাতিঘর হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘কোনোদিন ভাবিনি আমার মতো একজন প্রতিবন্ধী নারীও এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে। ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যিনি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। যতদিন বাঁচি, ততদিন শিশুদের শিক্ষা দিয়ে যাব।’
টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও মঈনুল হক বলেন, এটি একটি অনন্য পাঠশালা। জয়ন্তী যা করেছেন, তা এ সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত। এ পাঠশালার শিশুদের জন্য একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মের গরমে শিশুদের কষ্টের কথা ভেবে প্রশাসন থেকে তিনটি পাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। জনকল্যাণে উপজেলা প্রশাসন এমন কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির দুই হাজার কেজি চাল জব্দ
  • এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড
  • ভোলায় ইন্ট্রাকো কোম্পানির চারটি গাড়ি আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা
  • পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে তর্ক, স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
  • কিছু নামধারী ছাত্র সমাজকে কলুষিত করতে চায়: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কায়কোবাদ
  • ভোলায় ইন্ট্রাকোর ৪টি গাড়ি আটকে দিয়েছে ছাত্র-জনতা
  • প্রতিবন্ধী নারীর অনন্য পাঠশালা
  • ভোলায় গ্যাসভর্তি আরও তিনটি গাড়ি আটকে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ, উত্তেজনা
  • হবিগঞ্জে শুঁটকি উৎপাদনে ভাটা