উদ্যোক্তার ঋণ তুলে আত্মসাৎ যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার
Published: 1st, March 2025 GMT
বগুড়া সদরের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হকের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের আওতাধীন যুবক-যুবতীদের নামে বরাদ্দ ঋণের টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একাধিকবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তদন্ত কমিটি সত্যতাও পায়। তবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বহাল রয়েছেন এনামুল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এনামুল জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান মো.
এ ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতিয়ার রহমান সহায়তা চেয়ে বগুড়া জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালককে চিঠি দেন। চিঠিতে প্রতারণার জন্য এনামুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও ঋণের টাকা আদায়ে অনুরোধ জানানো হয়।
এনামুল কাহালুতে চাকরি করাকালে উপজেলার দুর্গাপুরের নূহুর আলী নামে এক ব্যবসায়ী ঋণের জন্য আবেদন করেন। তাঁকে ঋণ দেওয়ার জন্য মর্টগেজ হিসেবে একটি জমির মূল দলিল নেন তিনি। পরে এটি দিয়ে আব্দুল মজিদের নামে ২০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন এনামুল।
নূহুর আলী বলেন, ‘আমার দলিলে অন্যজনের নামে ঋণ নেওয়া হলো। অথচ আমি জানতেও পারলাম না। কয়েক বছর ঘুরেও দলিল ফেরত পাচ্ছি না।’
জানা যায়, নূহুর আলীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারী পরিচালক এ এইচ এম এনামুল হকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি হয়। কমিটি গত বছর ২৭ অক্টোবর প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এনামুল হক প্রতারণার মাধ্যমে একজনের দলিল দিয়ে আরেকজনের নামে ঋণের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
ঋণ ছাড়ে ঘুষ, জালিয়াতি ছাড়াও এনামুলের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে কর্মরত অবস্থায় ভাড়া বাসায় নারী নিয়ে ফুর্তি করার সময় ধরা পড়েন। পরে এনামুলকে সুনামগঞ্জের ছাতকে বদলি করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর রাজনৈতিক তদবিরে আবারও বগুড়া সদরে আসেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এনামুল আগে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতার ছত্রছায়ায় ছিলেন। এখন ভোল পাল্টে ভর করেছেন বিএনপির নেতাদের ঘাড়ে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না যুব অধিদপ্তর।
অভিযোগের বিষয়ে এনামুল হক বলেন, ‘আমি সব টাকা পরিশোধ করেছি। সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বগুড়ার উপপরিচালক তোছাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘এনামুল হকের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উল্টো আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ করা হয়। এরপরও এনামুলের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঋণ র জন ত ল হক র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৫
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত ৮ জন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন।
উপপরিদর্শক আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মিনিবাসটি কক্সবাজারের দিক থেকে লোহাগাড়ায় আসছিল। আর সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো. আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মিনিবাসটি কক্সবাজারের দিক থেকে লোহাগাড়ায় আসছিল। আর সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো. আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।