চুরি, ছিনতাই রোধে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। শনিবার রাত ১০টা থেকে রাজধানীর বিজয় সরণি, নিউ মার্কেট, আগারগাঁও ও মিরপুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দল এবং পুলিশ সমন্বয় করে এ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল আরোহী এবং প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে যৌথ বাহিনী এ অভিযান শুরু করেছে। ঢাকা শহরে আজ রাতে পাঁচশতাধিক স্থানে টহল ও শতাধিক স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহ হলেই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর মাদক ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে ধোঁয়ায়-দূষণে ধুঁকছে গ্রামটি

একটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে ৩৬টি ইটভাটা। দিনরাত ইট পোড়ানো হয় এসব ভাটায়। ইট নিতে সারাক্ষণ চলাচল করে যানবাহনগুলো। এতে ধুলা-ধোঁয়ায় প্রায় সময় আচ্ছন্ন থাকে গ্রামটি। এ চিত্র লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের।

চর আফজল গ্রামে বাসিন্দা রয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার। অপরিকল্পিত ইটভাটার কারণে বেকায়দায় রয়েছেন তাঁরা। তবে শুধু এই গ্রাম নয়, পুরো চর রমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দাদেরই ইটভাটার কারণে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর আফজল গ্রামের আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এক-দুটি বাড়ির পরেই রয়েছে ইটভাটা। গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ইটভাটার কারণে গাছপালাও মরে যাচ্ছে। আগুনের তাপে গাছগুলো লাল হয়ে যায়। আরেক বাসিন্দা কৃষক নজরুল মিয়া বলেন, লোকালয়ের মধ্যে থাকা ভাটায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে রবি শস্যের। এখন আর এ এলাকায় তেমন রবিশস্য হয় না।

বসতবাড়ির পাশে ও ফসলি জমিতে ইটভাটা করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইটভাটার মালিক নুরুল ইসলাম, মো. আলমগীর ও কামরুল ইসলাম বলেন, ইটভাটাগুলো আগেই করা হয়েছে। তখন গ্রামে মানুষের বসতি কম ছিল।

২০২৪ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। তিনি জানান, রিটে রামগতি উপজেলার ৪৮ এবং কমলনগর উপজেলার ১০টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এরপরও এসব ইটভাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

জানতে চাইলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের পর আমরা বেশ কিছু ইটভাটা ভেঙে দিয়েছি। প্রশাসনের লোকজন চলে আসার পর তাঁরা আবারও ইটভাটা মেরামত করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। এ জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করা হয়েছে এবং ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ