সাভারের আশুলিয়ায় গোমাইল এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা, বাবা ও ফুফুর পর এবার চার বছর বয়সী ভাই শোয়াইদ ইবনে তাহমিদও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার কেউ আর রইল না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শোয়াইদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.
আগুনের ঘটনায় সুমাইয়াও ওই দিন দগ্ধ হয়েছিল। তার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়েছে। মা-বাবা ও ভাই চলে যাওয়ায় ওই পরিবারের শিশু সুমাইয়াই কেবল এখন বেঁচে রয়েছে। আগুনে শোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ, বাবা সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ এবং মা শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান সুমাইয়ার বাবা সুমন, তিন দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মা শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে শোয়াইদের ফুফু শিউলি মারা গেছেন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে।
নিহত শোয়াইদের বড় চাচা সোহেল বলেন, আগুনের ঘটনায় আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর ও তাদের ছেলেটাও চলে গেল। শুধু তাদের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। সে এখন সুস্থ আছে। ওই আগুনে আমার বোন শিউলিও মারা গেছে।
সোহেল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ও সুমন আশুলিয়া এলাকায় চাকরি করেন। ছোট বোন শিউলি শবেবরাতের রাতে ভাই সুমনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সে জন্য তিনিও ওই বাসায় গিয়েছিলেন। ওই দিনের আগুন তাদের পরিবারের চারজনকে কেড়ে নিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
সুমাইয়ার আর কেউ রইল না
সাভারের আশুলিয়ায় গোমাইল এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা, বাবা ও ফুফুর পর এবার চার বছর বয়সী ভাই শোয়াইদ ইবনে তাহমিদও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার কেউ আর রইল না। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শোয়াইদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান শিশু শোয়াইদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ওই ঘটনায় এখনও তিনজন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে মনির হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের ৫ শতাংশ দগ্ধ। এ ছাড়া দগ্ধ চারজনকে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আগুনের ঘটনায় সুমাইয়াও ওই দিন দগ্ধ হয়েছিল। তার শরীরের ৯ শতাংশ পুড়েছে। মা-বাবা ও ভাই চলে যাওয়ায় ওই পরিবারের শিশু সুমাইয়াই কেবল এখন বেঁচে রয়েছে। আগুনে শোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ, বাবা সুমনের শরীরের ৯৯ শতাংশ এবং মা শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে মারা যান সুমাইয়ার বাবা সুমন, তিন দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি মা শারমিনের মৃত্যু হয়। এর আগে শোয়াইদের ফুফু শিউলি মারা গেছেন ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে।
নিহত শোয়াইদের বড় চাচা সোহেল বলেন, আগুনের ঘটনায় আমার ভাই, ভাইয়ের স্ত্রীর ও তাদের ছেলেটাও চলে গেল। শুধু তাদের শিশু সন্তান সুমাইয়াকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন। সে এখন সুস্থ আছে। ওই আগুনে আমার বোন শিউলিও মারা গেছে।
সোহেল জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। তিনি ও সুমন আশুলিয়া এলাকায় চাকরি করেন। ছোট বোন শিউলি শবেবরাতের রাতে ভাই সুমনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। সে জন্য তিনিও ওই বাসায় গিয়েছিলেন। ওই দিনের আগুন তাদের পরিবারের চারজনকে কেড়ে নিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাড়িতে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।