‘মানুষের জন্য’ শিরোনামে নতুন অ্যালবাম আনতে যাচ্ছে ব্যান্ড অ্যাশেজ। ১০টি গানে সাজানো এ অ্যালবামের সব আয় খরচ হবে মানবিক সহায়তায়। সম্মানী বা আয়ের অংশ নেবেন না ব্যান্ডটির কোনো সদস্য। আয়কৃত অর্থ সরাসরি পৌঁছে যাবে হাসপাতালের তহবিলে, যা খরচ হবে ক্যানসার, কিডনি, প্যারালাইসিস, চোখসহ বিভিন্ন জটিল রোগীর সহায়তায়। চলতি বছরের শেষে পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামটি একসঙ্গে প্রকাশিত হবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছে ব্যান্ডটি।

অ্যাশেজের ভোকাল জুনায়েদ ইভান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কনসার্ট থেকে উপার্জিত টাকার একটি ভাগ আমরা খরচ করি মানুষের জন্য। কিন্তু এতে শুধু একজনের পাশে হয়তো একবারই দাঁড়াতে পারছি। কীভাবে এসব মানুষের পাশে আরও ভালোভাবে দাঁড়ানো যায়, সেই চিন্তার ফল এই অ্যালবাম। অ্যালবাম থেকে আয়কৃত সব অর্থ খরচ হবে অসহায় মানুষের চিকিৎসায়। শুরুতে ক্যানসার, কিডনি ও প্যারালাইসিস রোগীকে প্রাধান্য দেব। ’

অ্যাশেসের সদস্যরা। ব্যান্ডের সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কিছু বিষয়ে মতানৈক্য থাকলেও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করি, আজকের বৈঠকে পরিসমাপ্তি টানা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন। 

বিএনপির সঙ্গে সংলাপকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বর্তমান সংলাপ প্রাথমিক পর্যায়ের হলেও দ্বিতীয় ধাপে দৃশ্যমান ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। বিভিন্ন দলের কাছ থেকে কিছু নতুন প্রস্তাব এসেছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা ঐকমত্যে কমিশনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছি। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যা আলোচনা হচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা। দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ, যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন করার কথা বলা হচ্ছে, এগুলোসহ বিচার বিভাগের সব স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু, সবকিছু যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনো কিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়। 

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ