রাজবাড়ীতে একটি যানের ধাক্কায় আহত গন্ধগোকুলকে আট দিন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে গতকাল শনিবার বিকেলে অবমুক্ত করা হয়েছে। 
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কায় গন্ধগোকুলটি আহত হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী এটিকে উদ্ধার করে রাজবাড়ীর জমিদার বাড়ি জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির আশ্রয়ে নিয়ে আসেন। আট দিন ধরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুকের পরামর্শে প্রাণীটির চিকিৎসা করা হয়। সুস্থ হয়ে উঠলে শনিবার বিকেলে এটি অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরামঘরের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক লিটন চক্রবর্তী, শামীম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান দিলু, আরামঘর শিশুনিকেতনের সংগীত শিক্ষক রেজওয়ান হোসেন, নাট্যশিল্পী শাহ মো.

আলমগীর প্রমুখ। 
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, গন্ধগোকুল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে লোডশেডিং বন্ধে সবার সহযোগিতা চাইলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা

আসন্ন গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুম এবং পবিত্র রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাশ্রয়ী হতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রোববার বিকেলে কাকরাইল সার্কিট হাউস মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা বলেন। পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই মতবিনিময় করা হয়।

মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে যাতে আর কোনো কষ্ট না হয় তার জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে।’

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, তা না হলে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হতে পারে। মসজিদ ছাড়াও বাসা-বাড়ি, দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা এবং অপ্রয়োজনীয় ফ্যান–লাইট না চলে, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে জ্বালানি সংকট রয়েছে। গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা পূরণে জ্বালানি আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। গরমকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। সেচের জন্য দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়্র। সেচ বন্ধ করা সম্ভব নয়, এতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। বাকি পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট প্রয়োজন হয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও অতিরিক্ত আলোকসজ্জায়। এজন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে বেধে দেওয়া হয়েছে। 

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত এক কার্গোসহ মোট চার কার্গো জ্বালানি আমদানি করা হচ্ছে। জনগণ যদি সচেতন হয় এবং অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে, তাহলে এই রমজান মাসে কোনো লোডশেডিং হবে না।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গ্যাসের মতো বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ