‘তোর টিআই (ট্রাফিক ইনস্পেক্টর) আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস’ বলেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন ইসলাম সবুজ নামে ওই ছাত্রদল নেতাকে শনিবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো.

শাহিনের ছেলে।

যশোর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল কে এম শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হসপিটালের সামনে ডিউটি করছিলেন। এ সময় শাওন নামে এক যুবক সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেলটি রাখেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ওই যুবককে মোটরসাইকেলটি সরানোর জন্য বলি। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন, তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই সরাইতে বলিস। তোর এতো সাহস হয় কিভাবে? এরপর আবারও তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে পথচারী ও সহকর্মীরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কাজী বাবুল হোসেন জানান, পুলিশ সদস্যকে আহত করায় শাওন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তার কাছে নিজের ছবি সম্বলিত ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিসি) নামে একটি ভুঁইফোর সংগঠনের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।  

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সেক্রেটারি শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র ছ ত রদল ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

লবণ মাঠ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষে সংঘর্ষ-গোলাগুলি, আহত ৩৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ মাঠ নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও গোলগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ ফোরকান, মোহাম্মদ মাহিম, আজিজুর রহমান ও নুর হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মোহাম্মদ দেলোয়ার, শাহজাহান, মোহাম্মদ রুবেল, জমির উদ্দীন ও আবদুল করিমকে (৪৫) বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর সরল এলাকার জাফর আহমদের ছেলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লবণ মাঠ থেকে ফিরছিলেন। নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে আমানুল্লাহ ও কবিরের নেতৃত্বে তাকে আটক করে মারধর করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে দেলোয়ারের লোকজন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে আমানুল্লাহ ও কবিরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় দেলোয়ারের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে জানান আহতরা।

গুলিবিদ্ধ ও আহতরা হলেন- মৃত জালেকের ছেলে ফোরকান (৩০), বদি আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাহিম (১৮), মৃত নুরুল আমিনের ছেলে আজিজুর রহমান (৫০), মৃত আমিরুজ্জামানের ছেলে নুর হোসেন (৩৭), জাফর আহমদের ছেলে দেলোয়ার (৩৮), মোহাম্মদ শাকিল (২১), মোহাম্মদ রাকিব (২০), লোকমান (২৭), সৈয়দ নুর (৪৫), নয়ন (১৯), শাহাব উদ্দীন (৩২), মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), মোহাম্মদ পারভেজ (২৩), মোহাম্মদ রাশেদ (২৩), মোহাম্মদ হাবিব (২৪), আবদুল আলিম (৪৫), মোহাম্মদ তৈয়ব (৫২), আবু তালেব (৬০) ও মোহাম্মদ ফরিদ (৫২)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ মাহিম বলেন, ‘আটক ও মারধরের খবর পেয়ে আমরা দেলোয়ারকে উদ্ধার করতে যায়। তখন প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আবদুল্লাহ কবির লিটনের অনুসারী।’

হামলার বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদেরও লোকজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের ভয়ে আমরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি।’

এদিকে হামলা ও গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লবণ মাঠ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আমরা বারবার উভয়পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ