‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, তুই বলার কে?’ বলে ট্রাফিক পুলিশের নাক ফাটাল ছাত্রদল নেতা
Published: 1st, March 2025 GMT
‘তোর টিআই (ট্রাফিক ইনস্পেক্টর) আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস’ বলেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন ইসলাম সবুজ নামে ওই ছাত্রদল নেতাকে শনিবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো.
যশোর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল কে এম শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় তিনি শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হসপিটালের সামনে ডিউটি করছিলেন। এ সময় শাওন নামে এক যুবক সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেলটি রাখেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ওই যুবককে মোটরসাইকেলটি সরানোর জন্য বলি। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন, তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই সরাইতে বলিস। তোর এতো সাহস হয় কিভাবে? এরপর আবারও তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করতে থাকেন। পরে পথচারী ও সহকর্মীরা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কাজী বাবুল হোসেন জানান, পুলিশ সদস্যকে আহত করায় শাওন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তার কাছে নিজের ছবি সম্বলিত ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিসি) নামে একটি ভুঁইফোর সংগঠনের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সেক্রেটারি শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। এ ঘটনায় আমরা বিব্রত। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করে থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র ছ ত রদল ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলি, পথচারী আহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শফিকুল ইসলাম শফিক নামে এক যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলিবর্ষণের তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার কর্নগোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জাফর আলী নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।
হামলার জন্য রিয়াজ হোসেন নামে আরেক যুবদল কর্মীকে দায়ী করেছেন শফিকুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, রিয়াজ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এটা অস্বীকার করায় রিয়াজ ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেন।
শফিকুলের ভাষ্য, শনিবার রাত ৯টার দিকে রিয়াজের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তাঁর বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় জাফর আলী নামে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে রিয়াজ হোসেন দাবি করেন, তিনি কোনোদিন চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসে জড়িত ছিলেন না। শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কিছু বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এ ঘটনার জেরে তাঁকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই চাঁদাবাজির অপবাদ দিয়েছেন। হামলায়ও তিনি জড়িত নন বলে উল্লেখ করেন রিয়াজ। তাঁর ভাষ্য, ঘটনার সময় তিনি এলাকায়ই ছিলেন না।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম বলেন, তারাব পৌর যুবদলের কর্মী শফিকুল ইসলামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।