গাজীপুরের টঙ্গীত অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৬০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় বিভিন্ন ধরনের মাদকসহ দেশিয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ।

অভিযান শেষে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আজ এ অভিযান চালানো হয়েছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র যেগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ব্যবহার করা হয় তাও জব্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চিহ্নিত বেশ কিছু সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী এ সংশ্লিষ্ট লোকজনকে আটক করা হয়েছে। সামনে রমজান মাস ঘিরে এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হতো বলে আমরা ধারণা ছিল। সে কারণেই আজকের আমাদের এই অভিযান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে পুলিশের ‘তথ্য সংগ্রহের’ মুখে দোকানির মৃত্যু

চট্টগ্রামে পরোয়ানাভুক্ত আসামির খোঁজ নিতে আসা পুলিশের তথ্য সংগ্রহের মুখে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক মুদি দোকানি। রোববার বিকেলে নগরের খুলশী থানার কুসুমবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত লাল মিয়া (৬০) বরিশালের বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় থাকতেন। একই আবাসিকের রাজীব ভবনের নিচতলায় তার মুদি দোকান রয়েছে।

পুলিশের দাবি, পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তবে স্বজনদের দাবি, তথ্য সংগ্রহে পুলিশের জোরাজুরিতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ করেননি মৃতের পরিবার।

লাল মিয়ার শ্যালকের ছেলে মো. শরিফ বলেন, ‘বিকেলে একটি মামলার বিষয়ে খোঁজ নিতে দুইজন পুলিশ দোকানে আসেন। এসময় আমার ফুফা ভয়ে অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাকে জিইসি মোড়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তিনি। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাকে কথা বলতে জোর করেন।’

খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, ‘পরোয়ানাভুক্ত এক আসামির তথ্য সংগ্রহ করতে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়েছিল। আসামির বিষয়ে লাল মিয়ার কাছে তথ্য জানতে চাইলে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। তিনি বয়স্ক মানুষ। স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাই হয়ত ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

তবে লাল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই বলে জানান ওসি। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগও করা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ