মাগুরা সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজারে স্থানীয় বগিয়া ইউনিয়নে বিএনপির সদস্য ফরম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা জানান, দেশব্যাপী চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে বগিয়া ইউনিয়নের আলোকদিয়া বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহের জন্য ফরম বিতরণ চলছিল। এ সময় ফরম বিতরণের বিষয়টি নিয়ে বগিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই সাবেক চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন ও আনিচ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আল মামুন (৪০), শিমুল (২৫), রাহাদুজ্জামান (১৬), মাহুরাব (৪০), কুরবান (৩২), মিজানুর (৫৫), রেজা (২৩), বিপ্লব (৩৫) ও শামীমকে (২৩) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আনিচুর রহমানের সমর্থক শামীম আহম্মেদের অভিযোগ, ৪ নম্বর বগিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ফরম বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। আগে থেকে ইউনিয়নে পূর্ববিরোধ চলছিল। ৯ জনের একটি সার্চ কমিটিও দেওয়া হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থকদের ডেকে ফরম বিতরণ শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও পরে আনিচ চেয়ারম্যান ও নিজাম চেয়ারম্যানের গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

নিজামউদ্দিনের সমর্থক আল মামুনের অভিযোগ, ফরম সংগ্রহ অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিকে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে শুরু হলেও শেষ দিকে দু’পক্ষে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বিএনপির কমিটির মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থককে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়, যা থেকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।   

মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুইব আলী বলেন, স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ফরম ব তরণ অন ষ ঠ ন ব এনপ র স ঘর ষ র সমর সদস য য ফরম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে গাজাজুড়ে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজারে।

গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ১১৮ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়ালো
  • গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত