‘এ’ ক্ষমতা থেকে চলে গেছে, মনে হয় ‘বি’ ক্ষমতায় বসেছে: মাহমুদুর রহমান মান্না
Published: 1st, March 2025 GMT
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এ’ ক্ষমতা থেকে চলে গেছে, এখন মনে হয় ‘বি’ ক্ষমতায় বসেছে। প্রশাসন ‘বি’–এর কথামতো চলে। বিভিন্ন জায়গায় দখলদারত্ব, চাঁদাবাজির শেষ নেই। এত বড় অভ্যুত্থান ও এত আত্মত্যাগের পরেও এগুলো চলছে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহীদুল ইসলামের ওপর স্থানীয় বিএনপির হামলা এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা-মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের লোক মনে করছে, “এ”–এর বদলে “বি” আসবে। তাই পুলিশ কোনো বিশেষ ব্যক্তির নির্দেশে চলবে, এমন পুলিশ প্রশাসন আমরা চাই না। অন্যায়ের সঙ্গে মাথা নত করব না, জেল খেটেছি, মার খেয়েছি, জুলুম–নির্যাতন সহ্য করেছি। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যান্য দলের লোকদের ওপর এমন হামলা চলছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক করেন, দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরুন, নইলে সাধারণ মানুষের কাছে এই গণ–অভ্যুত্থান মূল্যহীন হয়ে যাবে। যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। ঢাকা, ০১ মার্চ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
বাম বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলার আহ্বান
লুণ্ঠনের বুর্জোয়া ধারা ও ধর্মীয় মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
বাসদের সমর্থক–শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলনমেলায় বজলুর রশীদ এ আহ্বান জানান। রাজধানীর তোপখানার বিএমএ মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে এই আয়োজন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে সারা দেশের ছয় শতাধিক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী অংশ নেন। বিভিন্ন বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাসদের কার্যক্রম, রাজনৈতিক সংগ্রাম, পরামর্শ, সমালোচনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী ধারা ও মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম ও উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির সমন্বয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি।
বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যে আশাবাদ গড়ে উঠেছিল, তা ক্রমাগত ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বৈষম্যের বিলোপের স্লোগানে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ গণ–অভ্যুত্থানে শামিল হলেও একই শ্রেণির এক অংশকে হটিয়ে অপর অংশ শাসনক্ষমতায় যাওয়ায় গত আট মাসেও জীবনযাত্রার ব্যয় কমেনি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি থামেনি। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য যে নির্বাচন, তা নিয়েও ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মিলনমেলায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবিদুর রেজা, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, গণতন্ত্রী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সিকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব সুজা উদ্দিন, সাংবাদিক কুদরত ই খুদা, ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন, নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।
মিলনমেলায় ছিল কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নিখিল দাস।