নোয়াখালীরর মাইজদীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. মাসুদ (২২) সদর উপজেলার রাজগঞ্জ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আজ বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে, আজ ভোরে মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকায় অচেতন অবস্থায় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে ফেলে চলে যায় অপহরণকারী। বর্তমানে সে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সুধারাম মডেল থানার ওসি মো.

কামরুল হাসান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে শনিবার ভোরের দিকে জেলা শহরের হাউজিং আবাসিক এলাকা থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। ওই এলাকায় স্কুলছাত্রীর বোনের বাসা। খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রীর পরিবার তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। 

চিকিৎসক ও তার পরিবারের ধারণা, ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মাসুদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে আজ বিকেলে থানায় অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জবানবন্দি রোববার সকালে নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ গ র প ত র কর অপহরণ র পর পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ব্যর্থ: ভারত

ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এ অভিযোগ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মর্মাহতভাবে লক্ষ্য করছি। এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের একটি ধরণ অনুসরণ করে, যদিও পূর্ববর্তী এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীরা দায়মুক্তির সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং আবারো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে তারা কোনো  অজুহাত তৈরি না করে বা কোনো পার্থক্য না করে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুকে সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে হাতের নখ উপড়ে প্রতিবন্ধী বানিয়ে করানো হতো ভিক্ষা
  • উদ্ধার অভিযানে মিলল ‘ইউপিডিএফের আস্তানা’
  • খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ইউনিফর্ম-ওয়াকিটকি 
  • উদ্ধার অভিযানে ‘ইউপিডিএফের আস্তানার’ সন্ধান
  • মানিকছড়িতে মোবাইল টাওয়ারের দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ
  • খাগড়াছড়িতে এবার ২ টেকনিশিয়ান ‘অপহরণ’
  • চবির অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে সমাবেশ 
  • খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
  • ভবেশের মৃত্যু: ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ব্যর্থ: ভারত