‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর হুমকি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
Published: 1st, March 2025 GMT
দিল্লি ও এর আশপাশে বাস করা ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ ও রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে আবারও হুমকি দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ জন্য এরই মধ্যে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ এ নির্দেশনা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিসহ আশপাশের এলাকায় বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে জানতে চান অমিত শাহ। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি– দিল্লির যেসব কলোনিতে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা বসবাস করে, সেগুলো নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যারা ভুয়া নথি বা কোনো নথি ছাড়াই বসবাস করছে, তাদের শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হালনাগাদ তথ্য জানানোর পর তিনি বলেছেন, অবৈধ অভিবাসী ও অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এ ব্যাপারে আমাদের সবার কঠোর হতে হবে। অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
অমিত শাহ পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও বলেন, এটি একটি বড় নেটওয়ার্ক। যে কোনো মূল্যে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে হবে। আইনের আওতায় আনতে হবে অপরাধীদের। এ জন্য অভিযানে যতখানি কঠোরতা আনা প্রয়োজন, তা আনতে হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার সকালে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোলচত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি শাহাদাত হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। ২০০২ সালে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
র্যাব জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের সময় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে শাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামি শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং আসামির অবস্থান শনাক্তের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে। পরে দীর্ঘ সাত পর র্যাবের টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে।