সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অভিযান শুরুর পর থেকে সারা দেশে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে ৫৬৯ জন এবং অন্যান্য মামলায় ৬৬২ জনসহ মোট ১ হাজার ২৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে ২টি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড গুলি ছাড়াও ৬২ গ্রাম গান পাউডার, ৩টি রাম দা, একটি লোহার তৈরি দা, একটি ছোরা, দুটি লোহার রড ও একটি কাঠের লাঠি জব্দ করা হয়েছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার ঘটে। এর প্রতিবাদে ঘটনার পরদিন গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। পরবর্তীতে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সমাজ বদলে শিক্ষার্থীদের ঐক্য-বন্ধন

মাহমুদুল হাসান। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। উচ্চ মাধ্যমিকে ওঠার পর প্রথমে সচেতনতা ও শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেন এই তরুণ। পড়াশোনা করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৯ সালের শুরুতে ১০ বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তোলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ঐক্য-বন্ধন’। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এ সদস্যের বেশির ভাগই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সদ্য মাধ্যমিক পার হওয়া তরুণ-তরুণী। তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, মণিরামপুর ও সদর উপজেলায়। বর্তমানে ঐক্য-বন্ধন অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থান, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ, বৃক্ষরোপণ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচি, গরিব ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো, ঈদে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ, বাল্যবিয়ে, মাদক, দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা, ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার, নারীকে সচেতন করতে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন এই সংগঠক। শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, অসহায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কাজ করে আসছেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও তাদের স্মার্ট করে গড়ে তুলতে শিশু বয়স থেকে নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য কাজ করছে সংগঠনটি। 
সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে এসেছি অল্প সময়ের জন্য। এই সময়টা যদি ভালো কাজে না লাগানো যায় তবে এর দায়ভার আমাদেরই নিতে হবে! চেষ্টা করি আমার অবসর সময়ে এবং উপার্জিত অর্থ থেকে কিছু টাকা ব্যয় করে এবং কখনও কখনও অন্য কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এসব সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে আমরা মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে চাই।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ