রূপগঞ্জে জোরপূর্বক কৃষকদের জমিতে বালি ভরাট ও ফসল নষ্টের অভিযোগ
Published: 1st, March 2025 GMT
রূপগঞ্জের ভোলাভো ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড গুতুলিয়া এলাকায় পূর্বায়ন সিটি নামের এক আবাসন প্রকল্পের নিয়োজিত লোকজন স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি না কিনেই জোরপূর্বক জমিতে বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।
বালু ভরাটে বাঁধা দেওয়ায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে ওই আবাসন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে শনিবার (০১ মার্চ) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার মঠের ঘাট এলাকায় অবস্থিত রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক কামরুল হাসান ওরফে রিপন মাস্টারসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গুতুলিয়া এলাকার সাবেক মেম্বার জুয়েল, জাকারিয়া ও পলাশসহ কয়েকজন মিলে পূর্বায়ন সিটি নামের এক আবাসন প্রকল্পের নামে কৃষকদের কাছ থেকে জমি ক্রয় না করেই জোরপূর্বক ভাবে প্রভাব খাটিয়ে জমিতে রাতের আধারে বালুভরাট শুরু করে।
শুধু তাই নয়, বালুর পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষি জমি। জমি না কিনেই ৮০ বিঘা জমি বালু ভরাটের দায়িত্ব দেওয়া হয় আলতাব হোসেন নামের এক প্রভাবশালীকে। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ছনপাড়া-চান টেক্সটাইল সড়ক কেটে বালুর পাইপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কামরুল হাসান ওরফে মাস্টারের ৭ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে।
একই এলাকার মাসুম মোল্লার দুই বিঘা জমিতে বালু ভরাট করা হয়েছে। সজীব মিয়ার তিন বিঘা জমিতে রোপন করা ফসল নষ্ট করা হয়েছে।
মিলন মিয়ার এক বিঘা, আনিস মিয়ার ৫ শতাংশ, আবু তাহেরের দেড় বিঘা, রেনু মিয়ার আড়াই বিঘা, আব্দুর রাজ্জাকের ৭ শতাংশ, তোফাজ্জল মোল্লার পৌনে তিন বিঘা, ফজর আলীর চল্লিশ শতাংশ , আনোয়ার আলীর মোল্লার ৫৬ শতাংশসহ কৃষকদের জমিতে বালু ভরাট ও ফসল নষ্ট করা হয়েছে।
এদিকে, জোরপূর্বক কৃষকদের জমিতে বালু ভরাট ও ফসল নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় এবং বাধা দেওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে ওই আবাসন প্রকল্পের লোকজন।
কৃষকদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট ও ফসল নষ্ট করা থেকে বিরত না থাকলে স্থানীয় কৃষকরা সম্মিলিতভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে পূর্বায়ন সিটি নামের এক আবাসন প্রকল্পের নিয়োজিত সাবেক মেম্বার জুয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করার পরেও তিনি রিসিভ করেননি।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কৃষকরা আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি আমার ভোলাবো ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে ওই আবাসন প্রকল্পের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেই। এখন যদি আবারও তারা কার্যক্রম চালায় তাইলে আমি ব্যবস্থা নেবো।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন ম র এক র পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলা, রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি মান্না ও ফুয়াদের
উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলার প্রতিবাদে রাজপথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। গণফোরাম সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজও এতে সমর্থন জানিয়েছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ ঘোষণা দেন। ‘উর্দুভাষী সংখ্যালঘু ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ শীর্ষক’ ওই বৈঠকে কঠোর কর্মসূচির কথা জানান উর্দুভাষী নেতারা। ঢালাও মামলা প্রত্যাহার না করলে আত্মাহুতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু।
তবে এ ধরনের কর্মসূচি না দিয়ে রাজপথে থাকার পরামর্শ দেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ অন্য অতিথিরা। তারা বলেন, আত্মাহুতি কোনো সমাধানের পথ নয়। ঢালাও মামলার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উর্দুভাষীরা যদি এই বিষয়ে আন্দোলনের ডাক দেন, তাহলে তাদের সঙ্গে নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, এবি পার্টি, বাসদসহ সব রাজনৈতিক দল রাজপথে নামবে।
মান্না বলেন, ফাক্কু ও তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ২০১২ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য তখন তিনি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনের পর ফাক্কু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি হবেন, এটা ভাবতেও অবাক লাগে। যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলার তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আত্মহত্যার মতো কর্মসূচি দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে মাথা নত করা যাবে না। এসব মামলা প্রত্যাহার করতে সরকার ও প্রশাসনকে বাধ্য করতে হবে। এজন্য তীব্র আন্দোলন করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, মোহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (এমআরডিএম) সভাপতি ওয়াসি আলম বশির প্রমুখ।