ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানেও পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা চাইলেন ক্রিকেটাররা
Published: 1st, March 2025 GMT
বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানই হলো। রঙিন পোশাকে অধিনায়কেরা দাঁড়ালেন, তাঁদের জন্য বড় মঞ্চ তৈরি ছিল আগেই। সবার গায়ে বিভিন্ন রঙের জার্সি, ট্রফিটা নিয়ে এলেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর নেতৃত্বে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন।
এত সব আয়োজনের আড়ালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আছে অবশ্য বিষাদের সুর। এই টুর্নামেন্ট দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের জন্যই রুটি–রুজির উৎস। অথচ এবার প্রিমিয়ার লিগে পারিশ্রমিক কমে গেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি।
এ নিয়ে খেলোয়াড়দের আফসোস শোনা যাচ্ছিল আগে থেকেই। ওই সুর বাজল ট্রফি উন্মোচন মঞ্চেও। গত বিপিএলে পারিশ্রমিক নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক ও মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সেটি মনে করেই যেন মিরপুরে আজ ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বললেন, ‘আমি সব সময় মনে করি, প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মেরুদণ্ড। খেলা ভালো হোক, আম্পায়ারিং ভালো হোক, এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের যেন নিশ্চয়তা থাকে। আমার তরফ থেকে এতটুকুই চাওয়া থাকবে।’
ট্রফি নিয়ে আসেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গোল যত হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে
রিয়াল ৪-৪ সোসিয়েদাদ
(দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে রিয়াল জয়ী)
রাফায়েল নাদালকে দেখা যাচ্ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে। গালে হাত দিয়ে চিন্তা ক্লিষ্ট মুখে বসে ছিলেন। মাঠে তাঁর প্রাণের দল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়ালের আরও অনেক সমর্থক। ১১৫ মিনিটে মাথার এক টোকায় সব দুশ্চিন্তা দূর করলেন আন্তনিও রুডিগার।
আরদা গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের ম্যাচে তখন ৪-৪ গোলের সমতা আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। তখন নাদালের উল্লাস দেখে কে! বার্নাব্যু গর্জে ওঠার সঙ্গে নাদালও আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠলেন। হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে মুখের ভঙ্গিটা এমন করলেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!
তা নয় তো কি? গত ফেব্রুয়ারিতে সান সেবাস্তিয়ানে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জেতার পর তাদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ আরও সহজ হবে ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল রাতে ফিরতি লেগের স্কোরকার্ডে লেখা হয়েছে অন্য গল্প। যেখানে ৮ গোলের রোমাঞ্চের মধ্যে আছে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও। ফিরতি লেগে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হলো, ম্যাচে গোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে!
আরও পড়ুনম্যাচসেরার পুরস্কার কেউ পান ডিম, কেউ সিম১১ ঘণ্টা আগেরিয়াল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ এক চিপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান একাদশের হয়ে নামা এনদ্রিক। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে ৭২ মিনিটে রিয়াল আবারও পিছিয়ে পড়ে ১-২ গোলে। ৮০ মিনিটে সেই পিছিয়ে পড়ার ব্যবধানই দাঁড়ায় ১-৩। জুড বেলিংহামের ৮২ মিনিটের গোল ও চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত রুডিগারে রক্ষা।
সোসিয়েদাদ ম্যাচে একাধিকবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি