ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল বানান, পলাতক নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন
Published: 1st, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চট্টগ্রামকে লেখা হয়েছে ‘চট্রগ্রাম’। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ছাপার ভুল। ওই প্রশ্নে পলাতক নেতাদের সম্পদের বিষয়ে বাক্য তুলে দিয়ে সেটি শুদ্ধ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। আজ শনিবার অনার্স (স্নাতক সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে ছিল এ ইউনিটের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ বছর রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিচ্ছেন।
বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে ১ হাজার ১২৩ সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ জন। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী এই তিন শহরে পরীক্ষাটি হয়।
এদিন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বাংলা দ্বিতীয়পত্র অংশে একটি প্রশ্নে পলাতক নেতাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্নটিতে ‘সপরিবারে পলাতক নেতাদের স্বনামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি আছে’ বাক্যটি উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, এটি অর্থপূর্ণভাবে গঠিত হয়েছে কি না। তবে প্রশ্নের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা হয়েছে। এটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি মুদ্রণের ভুল। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও অসংগতির খবর তাঁরা পাননি। বানানের ভুলটা মুদ্রণজনিত।
চারটি ইউনিট ও তিনটি উপ-ইউনিট মিলিয়ে এবার আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো এত শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেননি। সেই হিসাবে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে।
গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছাপা হয় ভুল বানানে।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন আয়কর রিটার্নে দেশীয় প্রযুক্তির সাফল্য
দেশের অনলাইন আয়কর রিটার্নে বড় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমার হার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি এই ই-রিটার্ন সিস্টেমটি তৈরি করে দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৪ লাখ ৪৩ হাজারেরও বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ২৬ হাজারের মতো। নতুন অর্থবছরে (২০২৫-২৬) ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন করেছেন ১৮ লাখ ৬২ হাজারের বেশি করদাতা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, এবারের ই-রিটার্ন জমা দেওয়ায় নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে। এনবিআর যা ধরে রাখতে চায়। তিনি উল্লেখ করেন, এনবিআর দেশীয় সফটওয়্যারের ওপরে ভরসা রাখতে চায়। দেশি সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় অনলাইনে রিটার্ন জমা নিতে এনবিআরের ওপর চাপ তৈরি হয়। সে সময় আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সিনেসিস আইটি মাত্র চার মাসে ই-রিটার্নের প্রথম ভার্সন তৈরি করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে ই-টিআইএন সিস্টেমে ১ কোটি ১৭ লাখের বেশি নিবন্ধন হয়েছে যা দেশের অন্যতম বড় ডেটাবেইজ।
২০১৩ সালে ই-টিআইএনের মাধ্যমে আয়কর বিভাগ প্রথম অটোমেশন কার্যক্রম শুরু করে, যার শুরু সিনেসিস আইটির হাত ধরে।
সিনেসিস আইটির প্রধান সলিউশন অফিসার আমিনুল বারী শুভ্র বলেন, ‘সরকার ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রচেষ্টার সফল উদাহরণ হলো ই-রিটার্ন। কর ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে এটি একটি বড় মাইলফলক। ই-রিটার্ন সিস্টেমের ডিজাইনে সাইবার নিরাপত্তা এবং করদাতার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো এখন আন্তর্জাতিক মানের সলিউশন ডেভেলপ করছে। তাই সে ক্ষেত্রে বিদেশি সফটওয়্যার কেনার মানে নেই। তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সিনেসিস জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের এই ই-রিটার্ন সিস্টেম গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং একটি দেশের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা চলছে।