সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, এলাকাবাসী আতঙ্কে
Published: 1st, March 2025 GMT
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের প্রায় ৪০০ ফুট ভেঙে মরিচ্চাপ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কাঁচা বাজার, আল আকসা জামে মসজিদ ও গোয়ালডাঙ্গা বাজারসহ আশপাশের এলাকা। ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে।
গত বছর মরা মরিচ্চাপ নদী খননের পর বছর যেতে না যেতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ মুহূর্তে ভাঙন না আটকানো না গেলে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার বিঘা জমির বোরো ধান ও শত শত বিঘা জমির ক্ষেতের তরমুজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়া এবং বহু মৎস্য ঘের লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপজেলার কর্মকর্তাদের ফোনে বিষয়টি জানানোর পর আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, বেড়িবাঁধ যদি দ্রুত সংস্কার করা না হয় তাহলে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জরুরিভাবে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করার চেষ্টার আশ্বাস দেন।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় ৯ লাশ উদ্ধার, জনমনে আতঙ্ক
বিদ্যালয়ে ছাত্রীকে জখম
গ্রেপ্তার হয়নি ৬ আসামি, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ছুটিতে থাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইনকে দ্রুত সেখানে পাঠানো হবে। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকায় রয়েছেন। রবিবার (২ মার্চ) সকালে তিনি সাতক্ষীরায় ফিরে আসবেন। আসার পর তার নির্দেশনা অনুযায়ী বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আতঙ ক উপজ ল আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে পাখি বলেছিল সে আর শুটিং করবে না...
প্রথম আলো :
দীর্ঘ সময় একটা সিনেমা নিয়েই থাকা ক্যারিয়ারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে কি না?
সিয়াম আহমেদ: এগুলো তো আসলে পার্ট অ্যান্ড পার্সেল সিনেমা মেকিংয়ে। অনেক সিনেমা মনে হয় সাড়া ফেলবে, পরে দেখা যায় সেটা কাজ করেনি। হয়তো দর্শকদের সেভাবে ভালো লাগে না। এই সিনেমার ক্ষেত্রে সেটা মাথায় আসেনি। এ ক্ষেত্রে হুমায়ূন আহমেদের গল্পের মতো, গল্প শেষ হলেও একটা রেশ থেকে যায়, ইমোশনালি কানেক্ট করে, তেমন উপাদান ছিল গল্পে। আমার কাছে মনে হয়েছিল, ভালোভাবে চরিত্রটি তুলে ধরতে পারলে দর্শক এটি গ্রহণ করবে। তা ছাড়া ক্যারিয়ারে সব সিনেমাই ব্যবসা করতে হবে, এমনটা আশা করি না। আমি যে বিশ্বাস থেকে সিনেমা করি, মাঝেমধ্যে সেটা কাজে লাগে, মাঝে আবার বিশ্বাসের অন্য রূপ দেখি। দিন শেষে দর্শকেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেন।
প্রথম আলো :
সিনেমাটি দেখে অনেকেই বলছেন, এটা আপনার ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা। আপনার কাছে কী মনে হয়?
সিয়াম আহমেদ: আমি তাঁদের পছন্দমতো পারফর্ম করতে পেরেছি, চরিত্রটি তাঁদের ভালো লাগায় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন আমি আগের সিয়ামকে ছাড়িয়ে যেতে পারছি কি না, সেটা তো দর্শক, সমালোচক, পরিচালকেরা বলবেন। এখানে আমি কী বলব, আপনারা বলেন।
সহশিল্পী বুবলীর সঙ্গে সিয়াম