ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর ১৫ নেতার পদত্যাগ
Published: 1st, March 2025 GMT
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) শাখা ছাত্রদল কমিটি ঘোষণার পরপরই সভাপতিসহ ১৫ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র ও ছাত্রলীগকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে এ কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিন নাছির। এতে আশরাফুল হককে সভাপতি এবং জামিরুল ইসলাম জামিলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৮ সদস্যের ডুয়েট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই কমিটি ঘোষণার পরপরই নেতারা গণপদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে যাকে (নাছিরউদ্দিন নাছির) সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে তিনি ছাত্রশিবিরের অনুপ্রবেশকারী। তার বিষয়ে আগে থেকে কেন্দ্র এবং তাদের সাংগঠনিক টিমকে জানানো হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে তাকে পদায়ন করেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদর্শগত ভিন্ন মেরুর হওয়ায় তার সঙ্গে রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, কমিটিতে বিবাহিত এবং অছাত্র আরাফাত হোসেনকে এক নম্বর সহসভাপতি করা হয়েছে। ইমন মোল্ল্যার বিরুদ্ধে বিগত দিনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় থাকার প্রমাণ রয়েছে। ছাত্রদলের মতো আদর্শিক সংগঠনের একটি ইউনিট কমিটিতে ছাত্রশিবির, অছাত্র আর ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারী থাকলে সেখানে অন্তত আদর্শের রাজনীতি হতে পারে না।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন- নতুন কমিটির সভাপতি আশরাফুল হক, সহসভাপতি হাসান আল বান্না, আব্দুল কাদের, শাহ আলম মিয়া, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মো.
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক টিমের সদস্য মিয়া মোহাম্মদ রাসেল বলেন, সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের যে অভিযোগ উঠেছে সেরকম কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ছ ত রদল র পদত য গ ল ইসল ম কম ট ত গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
সভাপতিসহ ৯ পদে আ.লীগ ও ৫টিতে বিএনপিপন্থিদের জয়
কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) ১৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯টিতে ও বিএনপি ৫টিতে জয়লাভ করেছে। এছাড়া জামায়াত ২টিতে ও জাতীয় পার্টি ১টিতে জয় পেয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুনুর রশিদ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপির এস এম শাতিল মাহমুদ।
গতকাল বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কে এম আব্দুর রউফ। কমিশনে সদস্য ছিলেন মোস্তফা সামসুজ্জামান ও আল মুজাহিদ হোসেন।
এর আগে নির্বাচন ঘিরে আদালত চত্বরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক আদালত চত্বরে নির্বাচনী পাঁচটি ক্যাম্পে হামলায়। এ সময় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী তার মোবাইল ফোন হামলার ঘটনা ভিডিও করায় তার মাথায় আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আইনজীবীরা মনে করছেন, এই ঘটনার কারণে বিএনপিপন্থি প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবার ১৭টি পদের বিপরীতে ৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির ৪৬০ ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোট দেন।
সভাপতি পদে হারুনুর রশিদ ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী এস এম শাতিল মাহমুদ ১৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত ফারুক আজম মৃধা, সহসভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত মাহমুদুল হক চঞ্চল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাজমুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে বিএনপি সমর্থিত আবুল হাশিম, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সুলতানা বেগম মমো, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মকলেচুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থিত ওয়ালীউল বারী, সিনিয়র সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মারুফ বিল্লাহ ও আশুতোষ কুমার পাল, বিএনপি সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা ও হাফিজুর রহমান। জুনিয়র সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুহাইমিনুর রহমান পলল, সাইফুর রহমান সুমন ও সাইফুল ইসলাম এবং জামায়াত সমর্থিত রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।