সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইল মেঘনা ডিপোতে শ্রমিকদল নেতা এস.এম আসলাম মন্ডলের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা  পুলিশ। 

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে  গোদনাইল মেঘনা ডিপোর সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলায় জড়িয়ে পড়ে জানায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর গোদনাইল মেঘনা ডিপোর নিয়ন্ত্রণ নেন নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস.

এম আসলাম।

তার নেতৃত্বে তার লোকজন ডিপো কেন্দ্রীক বেপরোয়া  চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। গাড়িপ্রতি ৫০০/১০০০ টাকা করে নেয়া হয় আগে পরে সিরিয়ালের নামে। এ নিয়ে সাধারণ শ্রমিক ও ট্যাংকলড়ী মালিকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। 

শনিবার ডিপোতে নিয়ম না মেনে গাড়ীর সিরিয়াল আগে দেয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে  আসলাম মন্ডল গ্রুপের জাহাঙ্গীর, আসিফ, মোক্তার, আনোয়ার, মোখলেস, মিজান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এসময় সংঘর্ষে রুবেল (২৫), রনি (৩৮), হিরু (৩৫) গুরুতর আহত হন। এসময় আহতদের উদ্ধার করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, ট্যাঙ্কলরীর সিরিয়াল দেওয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে।সেনাবাহিনীর টিম ও আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ডিপো কেন্দ্রীক সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ স ঘর ষ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন স ঘর ষ আসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের দিন নিহত সুমাইয়ার বাসায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

গত বছরের জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে নিহত সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। 

রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় সুমাইয়ার বাসায় উপস্থিত হন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণঅঞ্চলের সংগঠক শওকত আলি। 

এ সময় সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিহত সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের বর্তমান অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং ঈদ উপহার তুলে দেন। 

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “সুমাইয়ার মতো এমন অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। বর্তমান সরকার এ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে তৎপর রয়েছে। ভুক্তভোগী এসবপরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা তাদের পাশে আছি”। 

পরে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিহত সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতোয় নাগরিক পার্টি এনসিপি নারায়ণগঞ্জ সংগঠক জোবায়ের হোসেন তামজীদ, ফয়সাল আহমেদ ফজলে রাব্বি, সোহেল খান সিদ্দিক, রাইসুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ জুলাই বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জে সিটি কর্পোরেশনের ১নম্বর ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় মায়ের বাসায় ঘরে আড়াই মাস বয়সের শিশু মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া আক্তার। 

বারান্দায় দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে আচমকা আকাশে ওড়া হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল ভেদ করে সুমাইয়ার মাথায় বিদ্ধ হয়। 

এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা নিথর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পথেই সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। 

বিশ বছর বয়সের তরুণী সুমাইয়া গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। স্বামী মো. জাহিদ এবং আড়াই মাস বয়সের মেয়ে সুয়াইবাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। 

দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানে রূপ নিলে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজ বাসা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের দিন নিহত সুমাইয়ার বাসায় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম