সংস্কার চান আল ফিকহ্ বিভাগের শিক্ষার্থীরা
Published: 1st, March 2025 GMT
বিভাগ সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদভুক্ত আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদের অন্য বিভাগের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াসহ বিভাগ সংস্কারে বিভিন্ন দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ‘আইন অনুষদের পরীক্ষা ধর্মতত্ত্বে কেন’, ‘অনতিবিলম্বে বিভাগের নাম সংস্কার চাই’, ‘আমরা কেন অস্তিত্ব সংকটে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
ইবিতে জিয়া পরিষদের নতুন কমিটি গঠন
‘আওয়ামী শাসনামলে সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার ইসলামী নেতৃবৃন্দরা’
জানা গেছে, গত বুধবার বিভাগে একাডেমিক কমিটিতে আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘ডি’ ইউনিট তথা ধর্মতত্ত্ব অনুষদের সঙ্গে নেওয়া হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় তারা বিভাগের সেশনজট দূর করা, বিভাগের নামে আইন শব্দটি যুক্ত করা, ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগের কারিকুলাম সংস্কার করা এবং আইন অনুষদের সঙ্গেই তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াসহ বিভাগ সংস্কারের বিভিন্ন দাবি তোলেন।
বিভাগের অধ্যাপক ড.
বিভাগের নাম পরিবর্তনে বিষয়ে তিনি বলেন, “বিভাগের নাম আমরাও পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করেছি। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে পুরো বিভাগ একমত। কোন কিছু হতে সময় লাগে। নতুন প্রশাসন আসছে।”
এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। বিভাগে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিলে সেটা বাস্তবায়ন করার এখতিয়ার প্রশাসনের রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে আগামীকাল লিখিত দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। দুই পক্ষের কথা শুনে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদভুক্ত আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বিভাগটিতে শতভাগ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এই বিভাগে ভর্তি হতে ভর্তি পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ফিকহী বিষয়ে উত্তর করতে হতো। কিন্তু ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি নীতিতে পরিবর্তন আনে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ বিভাগটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে অন্যখাতে প্রবাহিত করতে তৎকালীন আওয়ামী প্রশাসন ভর্তিনীতি পরিবর্তন করে। যা পরবর্তীতে বিভাগটির ভাবমূর্তি ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে কোনঠাসা করে দেয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ বর ষ থ ক পর ক ষ ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
১ হাজার ৫৬৪ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে নোবিপ্রবি
গুচ্ছভুক্ত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে সাধারণ আসন ১ হাজার ৫০০টি এবং কোটার মাধ্যমে ৬৪টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শনিবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এ’ ইউনিটে আসন ৯১৩টি, ‘বি’ ইউনিটে ৪৭৫টি ও ‘সি’ ইউনিটে ১৭৬টি আসন রয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে সাধারণ আসন ৮৭৫ টি ও কোটায় আসন ৩৮ টি, ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ আসন ৪৫৫টি এবং কোটায় আসন ২০টি। এছাড়া ‘সি’ ইউনিটে সাধারণ আসন ১৭০টি ও কোটায় আসন ছয়টি।
আটটি অনুষদ ও দুইটি ইন্সটিটিউটের অধীনে মোট ৩৩টি বিভাগে এ বছর ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে ২০১টি, বিজ্ঞান অনুষদে ২৭০টি, জীববিজ্ঞান অনুষদে ৪০০টি, আইআইটি ইনস্টিটিউটে ৪২টি, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদে ২৯০টি, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদে ৮৫টি, আইন অনুষদে ৫৩টি, আইআইএস ইনস্টিটিউটে ৪৭টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ১৭৬টি আসন রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে www.nstu.edu.bd পাওয়া যাবে। ভর্তি বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী