কুমিল্লায় মহাসড়কে ডাকাতি: হাইওয়ে থানার ওসি প্রত্যাহার
Published: 1st, March 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশের ডাকাতি প্রতিরোধে ব্যর্থতার ঘটনায় মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. খাইরুল আলম।
তিনি বলেন, মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশে সাম্প্রতিক সময়ে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। এ ঘটনা হাইওয়ে পুলিশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে ওসি জসিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, রমজান মাসে তারাবি ও সেহরির সময় মহাসড়কে আরও টহল বাড়ানো হচ্ছে।
গত দুই মাসে মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশে চারটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৫ জানুয়ারি মহাসড়কের মিশ্বানী এলাকায় ৩০০ বস্তা চালভর্তি ট্রাক পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মিয়া বাজার মসজিদ মার্কেটে প্রীতি জুয়েলার্স নামে স্বর্ণ দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। লুট হয় ৩৫ ভরি স্বর্ণ। ডাকাতদের গুলিতে আহত হন মোশারফ নামের এক ব্যবসায়ী। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় কুয়েত প্রবাসী নাইমুল ইসলামের মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ শনিবার একই জায়গায় মালয়েশিয়া প্রবাসী বেলাল হোসেনের প্রাইভেটকারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলা, রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি মান্না ও ফুয়াদের
উর্দুভাষীদের নামে ঢালাও মামলার প্রতিবাদে রাজপথে থাকবেন বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। গণফোরাম সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজও এতে সমর্থন জানিয়েছেন।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ ঘোষণা দেন। ‘উর্দুভাষী সংখ্যালঘু ও তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ শীর্ষক’ ওই বৈঠকে কঠোর কর্মসূচির কথা জানান উর্দুভাষী নেতারা। ঢালাও মামলা প্রত্যাহার না করলে আত্মাহুতি কর্মসূচি ঘোষণা করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু।
তবে এ ধরনের কর্মসূচি না দিয়ে রাজপথে থাকার পরামর্শ দেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ অন্য অতিথিরা। তারা বলেন, আত্মাহুতি কোনো সমাধানের পথ নয়। ঢালাও মামলার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উর্দুভাষীরা যদি এই বিষয়ে আন্দোলনের ডাক দেন, তাহলে তাদের সঙ্গে নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, এবি পার্টি, বাসদসহ সব রাজনৈতিক দল রাজপথে নামবে।
মান্না বলেন, ফাক্কু ও তাঁর সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ২০১২ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য তখন তিনি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনের পর ফাক্কু ছাত্র হত্যা মামলার আসামি হবেন, এটা ভাবতেও অবাক লাগে। যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলার তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আত্মহত্যার মতো কর্মসূচি দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে মাথা নত করা যাবে না। এসব মামলা প্রত্যাহার করতে সরকার ও প্রশাসনকে বাধ্য করতে হবে। এজন্য তীব্র আন্দোলন করতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, মোহাজির রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মুভমেন্ট (এমআরডিএম) সভাপতি ওয়াসি আলম বশির প্রমুখ।