বন্দরে বিধবা নারীর ভিটেবাড়ি দখল করে উচ্ছেদ, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
Published: 1st, March 2025 GMT
বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় এক বিধবা নারীর ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর থেকে নাবালক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই নারী।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চান বিলকিস বেগম শিউলি নামে নির্যাতিতা নারী। এসময় সাথে ছিলেন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী তার একমাত্র ছেলে সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া অর্ধ শতাংশ জমিতে ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসবাস করছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সম্প্রতি নিজের ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলেরা বাড়ির সামনে দেয়াল টেনে যাওয়া আসার রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তার ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি আরও জানান, এ ঘটনায় বন্দর থানায় জিডি করলেও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পান নি। বরং তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তার।
পাশাপাশি ভাইয়ের পরিবারের লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সহায় সম্বলহীন এই বিধবা নারী।
এ অবস্থায় নিজের ভিটেবাড়ি ফিরে পাওয়া সহ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। এসময় নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন শিউলি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে বিলকিস বেগম শিউলি বলেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি না থাকলে আমার নাবালক ছেলের কি হবে? আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আমার ভিটেবাড়িতে নিরাপদে থাকতে চাই। মিথ্যা মাম লা থেকে রেহাই চাই। সরকারের কাছে আমি এর প্রতিকার চাই। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ
নাটোরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে নির্যাতনের পর রিকশায় করে শহর ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে শহরের কানাইখালী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায়, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) রিকশায় শুইয়ে পিঠের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছেন এক যুবক। এসময় গান বাজছিল।
আরো পড়ুন:
রোগীর মৃত্যু, অবহেলার অভিযোগে মেডিকেল অফিসারকে মারধর
গোপালগঞ্জে গোবিপ্রবির ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে মারধর
ফয়সাল হোসেন কদর বলেন, “আমি ফায়ার সার্ভিসের মোড় থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় পেছন থেকে এসে আমাকে মারধর শুরু করেন নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়েরের সমর্থকরা। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিকশায় তুলে আমাকে শুইয়ে মারতে শুরু করেন তারা। এভাবে পুরো শহর ঘুরায় তারা। পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে আমাকে বাবা-মার কাছে তুলে দেন তারা।”
নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রদলের কিছু কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে (কদরকে) মারধর করছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছি।”
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানি না। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ