বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় এক বিধবা নারীর ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে। 

এ ঘটনার পর থেকে নাবালক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই নারী। 

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চান বিলকিস বেগম শিউলি নামে নির্যাতিতা নারী। এসময় সাথে ছিলেন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী তার একমাত্র ছেলে সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। 

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া অর্ধ শতাংশ জমিতে ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসবাস করছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সম্প্রতি নিজের ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলেরা বাড়ির সামনে দেয়াল টেনে যাওয়া আসার রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তার ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি আরও জানান, এ ঘটনায় বন্দর থানায় জিডি করলেও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পান নি। বরং তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তার।

পাশাপাশি ভাইয়ের পরিবারের লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সহায় সম্বলহীন এই বিধবা নারী। 

এ অবস্থায় নিজের ভিটেবাড়ি ফিরে পাওয়া সহ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। এসময় নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন শিউলি। 

কান্নাজড়িত কন্ঠে বিলকিস বেগম শিউলি বলেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি না থাকলে আমার নাবালক ছেলের কি হবে? আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আমার ভিটেবাড়িতে নিরাপদে থাকতে চাই। মিথ্যা মাম লা থেকে রেহাই চাই। সরকারের কাছে আমি এর প্রতিকার চাই। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ব্ল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা ও পরবর্তীতে গণপিটুনিতে দুই ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডাকাতের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত ও আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান।

আরো পড়ুন:

টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ছিনতাইকারী সন্দেহে উত্তরায় ২ ব্যক্তিকে ঝুলানো হয় ওভারব্রিজে 

এলাকাবাসী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ধাওয়া করেন এলাকাবাসী। ডাকাতরা স্পিডবোডে পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় যান। সেখানে এলাকাবাসী তাদের গতি রোধ করে বাল্কহেড দিয়ে।

এসময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি চালালে আহত হন কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, “ডাকাতের ছোড়া গুলিতে আহত চারজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সাত ডাকাতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।”

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তাদের উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ মামুন মাহমুদের 
  • গোদনাইল মেঘনা ডিপোতে আসলাম মন্ডলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৪
  • টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনীর অভিযান
  • শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
  • পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে ৪০ গাড়িতে ডাকাতি
  • শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
  • হবিগঞ্জে হাজার কেজি পচা ছোলাবুট ফেলা হলো নদীতে
  • বাংলাদেশ থেকে এক হাজার টন ইলিশ নিতে চায় চীন
  • পার্বত্য উপদেষ্টার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন, সহযোগিতার আশ্বাস