গৃহবধূর গলায় ছুরিকাঘাত করে টাকা ও ফোন চুরি
Published: 1st, March 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গৃহবধূর গলায় ছুরিকাঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার বিহারপুর বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ সিএনজিচলিত অটোরিকশাচালক মহসিন আলীর স্ত্রী মাসুদা (৫০)। গলায় জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গলায় যন্ত্রণা অনুভূত হলে তাঁর ঘুম ভাঙে বলে জানান ভুক্তভোগী গৃহবধূ। তাঁর স্বামী মহসিন ঢাকায় থাকেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘরের টিনের দরজা বন্ধ করে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন গৃহবধূ মাসুদা। রাত ১২টার দিকে গলায় যন্ত্রণা অনুভব হলে ঘুম ভাঙে তাঁর।
এ সময় গৃহবধূ দেখতে পান, তাঁর গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে, পুরো ঘর লণ্ডভণ্ড। তাঁর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে মেয়ে, তাঁর জামাই ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাঁর ঘর থেকে ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
আহত গৃহবধূর মেয়ের জামাই সাদ্দাম বলেন, ‘আমার শাশুড়ির চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি, তাঁর গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে। সামনের কিছু মাটি সরিয়ে দরজা খোলা হয়েছে, এমনটি মনে হচ্ছে। শাশুড়ির মোবাইল ফোন ও ১৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।’
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। থানায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো খাবার শেষে তিমিও গান গায়
ভালো খাবার পেলে মন কার না ভালো থাকে। ভোজনপর্ব শেষে গুনগুন করে অনেকে গানও গাইতে থাকেন। তবে যদি বলা হয়, খাওয়াদাওয়া ভালো হলে তিমিও গান গায়, আর সেই গান পিয়ানোর সুরের মতোই মধুর! অবাক হওয়ার কিছু নেই—এমন ঘটনা যে আদতেই ঘটে, তা দেখা গেছে নতুন এক গবেষণায়।
গবেষণাটি করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশন। ছয় বছর ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের উপকূলে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এ নিয়ে দিন কয়েক আগে পিএলওএস ওয়ান সাময়িকীতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিমিদের বাস্তুসংস্থানে পরিবর্তন হলে, তার আভাস পাওয়া যায় সেগুলোর গানে।
প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তিমির জন্য খাবারের দারুণ এক উৎস। বংশবিস্তারের জন্য সেখান থেকে প্রতিবছর বহু দূরে পাড়ি দেয় তিমিরা। পথে বলতে গেলে সেগুলো কিছুই খায় না। তাই যাত্রার আগে পেটপুরে খেয়ে নেয়। এই খাবার থেকে পাওয়া শক্তির সাহায্যেই তিমিরা বহু দূর গিয়ে সন্তান জন্ম দেয়, চলে লালন-পালন। পরে বসন্ত বা গ্রীষ্মের দিকে আবার নিজ ঠিকানায় ফিরে আসে।
গবেষণায় তিন ধরনের তিমির গানের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো নীল তিমি, হামব্যাক তিমি ও ফিন তিমি। এর মধ্যে নীল তিমি শুধু ‘ক্রিল’ নামে একধরনের চিংড়িজাতীয় মাছ খেয়ে থাকে। হামব্যাক তিমি ক্রিলের পাশাপাশি ‘অ্যাংকোভি’ নামের মাছের ঝাঁক থেকে খাবার সংগ্রহ করে। তবে এই খাবারের প্রতুলতা কিন্তু প্রতিবছর একই রকম থাকে না।
কনভারসেশনের গবেষণাটি শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন সমুদ্রে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ চলছিল। এতে উত্তর-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে তিমিসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছিল। গবেষণায় দেখা যায়, ওই তাপপ্রবাহের সময় তিন প্রজাতির তিমি সবচেয়ে কম গান গেয়েছিল। আর পরের দুই বছর পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেগুলোর গানের পরিমাণও বেড়ে যায়।
এ থেকেই প্রথম জানা যায়, খাবারের সঙ্গে তিমির গানের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর বিগত ৫০ বছরে অ্যাংকোভি মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে—এমন এলাকায় নজর রাখা হয়। দেখা যায়, সেসব এলাকায় হামব্যাক তিমির গান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এই গানের সঙ্গে যে মাছের সম্পর্ক রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় তিমিগুলোর ত্বক পরীক্ষা করে। ওই মাছ খাওয়ার ফলে সেগুলোর ত্বকে পরিবর্তন এসেছিল। নীল তিমির ওপর একই ধরনের পরীক্ষা চালিয়েও সেগুলোর খাবারের সঙ্গে গানের সম্পর্ক পাওয়া গেছে।