দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার আন্দোলন হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ এলাকার ছবির হাট চত্বরে আয়োজিত হলো ‘বহু ভাষার সন্ধ্যা’। তিন বছর ধরে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের উদ্যোগে এ আয়োজনটি হয়ে আসছে। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল—প্রতিরোধে বাঁচে সংস্কৃতি। নানা জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় লড়াই-সংগ্রামের বিষয়টি প্রাধান্য পায় অনুষ্ঠানে।

বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া বহু ভাষার সন্ধ্যায় প্রধান আলোচক ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিবিষয়ক লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা ইনক্লুসিভিটি শব্দটি বারবার শুনেছি। দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চাকে ধারণ করতে না পারলে একটি ইনক্লুসিভ সমাজ কখনো গড়ে তোলা সম্ভব না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সব ভাষার মানুষের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা যেভাবে গুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা পায়, বাংলাদেশেও সেটি কেন হবে না? চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান কিন্তু আমাদের এ অনুপ্রেরণা দেয় যে সব ভাষার মানুষ তাঁদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে এ দেশে মাথা উঁচু করে থাকবে। সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।’

দর্শকসারি থেকে উঠে এলেন কৃষক কুদ্দুস মুন্সী। কৃষকদের দুঃখ নিয়ে গাইলেন নিজের লেখা ও সুর করা গান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মব জাস্টিস আর অ্যালাউ করা যাবে না, অনেক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘মব জাস্টিস আর অ্যালাউ (অনুমোদন) করা যাবে না। অনেক হয়েছে। কারও কোনো কিছু বলার থাকলে আইনের আশ্রয় নেবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে যশোরের সশস্ত্র বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। যশোর জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে এ মতবিনিময় সভা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার সব এখনো আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

জামিনে দাগি সন্ত্রাসীদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। জামিনের বিষয়টা তো আমাদের হাতে নেই। জজরা বিচার-বিবেচনা করে জামিন দিচ্ছেন।’ এ বিষয়ে আদালতের পিপির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সরকারি আমলাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা অরাজনৈতিক সরকার। আমাদের কাছ থেকে আপনারা বেশি সুবিধা নিতে পারেন। চাকরির পোস্টিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ-তদবির অ্যাভয়েড (এড়াতে) করতে পারি। শতভাগ হয়তো পারিনি। তবে যতটা সম্ভব, আমরা অনুরোধ না রাখার চেষ্টা করছি। থানার ওসি যেন ঘুষ না খায়, সেটা আপনারা দেখবেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আত্মীয় পরিচয়ে কেউ কোনো সুবিধা নিতে গেলে প্রথমবার চা খাওয়ায়ে বিদায় করবেন। দ্বিতীয়বার পুলিশে সোপর্দ করবেন। কোনো রিকোয়েস্ট থাকলে আমি নিজে ফোন করব।

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মাদক। ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছাইড়া দিয়ে ৫০০ বোতল রিকভার (উদ্ধার) দেখান, এটা বন্ধ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলামসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ