হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়ানোর খবরে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন লালমনিরহাটের আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে লালমনিরহাট-পাটগ্রাম-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের মহেন্দ্র নগর বাজারের খান মার্কেট এলাকায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ওই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী সব ধরনের যানবাহন মহেন্দ্র নগর খান মার্কেট এলাকার দুই পাশে আটকা পড়ে।

খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী ও লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরনবী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁরা আন্দোলনরত আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল রোববার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে হিমাগার মালিক সমিতি, আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা হবে। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার আশ্বাস দেওয়া হলে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। তিন ঘণ্টা পর ওই মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

লালমনিরহাট সদরের মহেন্দ্র নগরের মনোরম গ্রামের আলুচাষি শাহিনুর রহমান, আবু আসাদসহ কয়েকজন আলুচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর হিমাগারের মালিকেরা প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের ভাড়া চার টাকা নিয়েছিলেন। আলু হিমাগার থেকে বের করার সময় বস্তা ওজন করে ভাড়ার মূল্য আদায় করা হয়ে থাকে। বস্তায় থাকা পচা আলুও ওজন করা হয়। পচা আলু বাদ দেওয়ার পর আলু সংরক্ষণের ভাড়া এমনিতেই বেশি পড়ে। এ বছর হিমাগারের মালিকেরা ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে আট টাকা করবেন বা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধি কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। আলোচনা করে সমঝোতা না হলে আবারও মানববন্ধনসহ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।

লালমনিরহাট জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি মো.

মোকছেদুর রহমান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ হিমাগার মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের প্রতি কেজি ভাড়া এ বছর আট টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে এ নিয়ে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী ও লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরনবী জানিয়েছেন, আন্দোলনরত আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের বোঝানো হয়েছে। সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিমাগার মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে দাবির সুরাহার চেষ্টা করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ও ব যবস য় দ র আল চ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ হলে মধ্যরাতে ব্রিফিং কেন

গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেছেন, দেশব্যাপী যে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি চলছে সেটা বন্ধ করার জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি এসব ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত থাকে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোনোভাবেই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ফসল ব্যাহত হতে দেওয়া যাবে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে মনির উদ্দীন পাপ্পু বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি ‘সন্তোষজনক’ হবে তাহলে মধ্যরাতে কেন প্রেস কনফারেন্স করতে হলো? কারণ আপনি নিজেও জানেন পরিস্থিতি পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই।

বুধবার বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে গণসংগতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য মজুদ ও বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন পাপ্পু। তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অনতিবিলম্বে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে এবং পবিত্র রমজান মাসে রোজাদাররা যাতে সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারেন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার যেন গরীব-ধনী নির্বিশেষে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। 

এদেশের নাগরিকদের নিরাপদে বসবাসের পরিস্থিতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন গণসংহতির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগঠক সাইফুদ্দিন আহমেদ ফয়সাল বলেন, যেখানে সিন্ডিকেট, যেখানে সন্ত্রাস যেখানে নৈরাজ্য, সেখানেই গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিরোধ।

চকবাজার থানার সদস্যসচিব মো. হাসানের সভাপতিত্বে এবং বংশাল থানার যুগ্ম আহ্বায়ক মনোজিৎ দেবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুব খান সেন্টু, যাত্রাবাড়ী থানার সংগঠক মোহাম্মদ ময়েজ, চকবাজার থানার যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব, বংশাল থানার আহ্বায়ক জয় ভৌমিক, বংশাল থানার সদস্য সচিব আহম্মদ উল্লাহ সুমিত, চকবাজার থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, সূত্রাপুর থানার আহবায়ক মোহাম্মদ আলিম, কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসানসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন, থানা ফটকে বিক্ষোভ
  • নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কারকাজে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • দুর্নীতিগ্রস্ত ও দুর্বৃত্তদের নিষিদ্ধ করতে হবে: বদিউল আলম
  • নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
  • খাদ্যে ভেজালকারীদের শাস্তি দাবি
  • ফতুল্লায় কাস্টমস কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, মানববন্ধন
  • দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ হলে মধ্যরাতে ব্রিফিং কেন