রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামী কর্মী মালেশিয়া প্রবাসী সোহানুর রহমান সবুজের সার্বিক তত্বাবধানে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (০১ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মামুর্দী গ্রামে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে এ ইফতার সামগ্রী বিতরণ হয়।

ইউনিয়ন আমির মাওলানা আবদুল মুমিনের সভাপতিত্বে  সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রিন্সিপাল ড.

ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।প্রধান মেহমান ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সাখাওয়াত হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা  জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম মোল্লা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সোনারগাঁ আইডিয়াল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রিন্সিপাল ড.ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন,জামায়াতে ইসলামী একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সারা বছর জুড়ে সমাজ সেবা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।

রসুল (স.) রমজান মাস আসার আগেই যেভাবে পদক্ষেপ নিতেন, সেই আলোকে আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। রমজান মাসে মুসলমানরা যাতে ফরজ দায়িত্বগুলো শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে পালন করতে পারেন, সেজন্য অতীতে রাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে এসব আয়োজন রাষ্ট্র করবে।

তিনি আরও বলেন, "যদি সমাজে সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়িত হয়, তাহলে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য সমাজের প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া, ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন করবো।"

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সোনারগাঁ উপজেলা দক্ষিণের ওলামা প্রধান ফৌরদীস খাঁন,মামুদ্দী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আশরাফুল ও সনমান্দী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আমির হামজা সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইফত র ইসল ম র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল-শিবির-বামপন্থীসহ ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে ছাত্রসংসদের পরিচিতি সভা

জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ শনিবার পরিচিতি সভা করেছে। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ বা বিরাজনীতিকরণ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় ও দেশের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে। তারা ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং ডাকসু নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। 

বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে এই পরিচিতি সভার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সভায় ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মানসুরা আলম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাবি শাখার সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ঢাবি ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি মহিউদ্দীন খান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, ছাত্রফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের খালেদ সাইফুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বক্তব্য দেন। 

ছাত্রদলের মানসুরা আলম বলেন, ছাত্রসংসদের নেতারা ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার রাজত্বের অবসানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরাও (ছাত্রদল) একই সঙ্গে মাঠে ছিলাম। ক্যাম্পাসে সকল ক্রিয়াশীল সংগঠনকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে রাজনীতি করতে হবে। 

ছাত্রশিবিরের মহিউদ্দীন খান বলেন, ক্যাম্পাসগুলোতে দীর্ঘসময় রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। সহাবস্থান রাখতে হবে। তিনি আশা করেন ছাত্রসংসদের নেতারা যেভাবে জুলাইয়ে অবদান রেখেছেন, আগামী দিনে ক্যাম্পাসে এবং দেশ বিনির্মাণে তারা একইভাবে কাজ করবেন।  
 
ছাত্রইউনিয়ন মেঘমল্লার বসু বলেন, ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণ কোনো সমাধান নয়। অতীতে অনেকে বিরাজনীতির কথা বলেছেন। এটি সঠিক পথ হতে পারে না। 
 
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইয়াসিন আরাফাত বলেন, একাত্তরকে আওয়ামী লীগ এককেন্দ্রিক করে তুলেছিল। জুলাই যাতে একদলের কেন্দ্রীভূত বিষয় না হয়। বাস্তবতা মেনে রাজনীতি করতে হবে। 
 
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলাই হলো ছাত্ররাজনীতি। দখলদারিত্ব-সন্ত্রাসের রাজনীতি আমরা চাই না। বিরাজনীতি সমাধান নয়, সমাধান হলো- আমরা একটি আদর্শভিত্তিক রাজনীতি চাই, যে রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত হবে, যে রাজনীতির মধ্যে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়তে পারব। সামনের দিনে একটি সোহার্দ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা মতামত চর্চা করব। 
 
স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদ বলেন, দিন দিন ক্যাম্পাসের পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে। ডাকসু নির্বাচনের দিকে আমাদের যেতে হবে। 
 
ছাত্রফেডারেশনের সৈকত আরিফ বলেন, ছাত্রসংসদে যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদেরকে আমরা জুলাইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখেছি। দেশে আগামীতে হয়তো আরও অনেক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।   
 
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং আহতদের পুনর্বাসনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। 
 
আব্দুল কাদের বলেন, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকল ছাত্রসংগঠন একত্র হতে পেরেছি। আমরা বিভাজনের রাজনীতি ভুলে গিয়ে ঐক্যের ডাক দিতে চাই। আমরা ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনীতির পরিসর বিনির্মাণ করতে চাই। সবার রাজনৈতিক সহাবস্থান যেন বজায় থাকে।
 
ঢাবি শাখা ছাত্রসংসদের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম এবং মুখপাত্র রাফিইয়া রেহনুমা হৃদির সঞ্চালনায় সভায় ছাত্রসংসদ ঢাবির শাখার সদস্যসচিব মহির আলম সমাপনী বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ