সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১ হাজার ২৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৫৬৯ জন এবং অন্য মামলা ও ওয়ারেন্ট-মূলে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৬২ জনকে।

৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে আজ শনিবার (১ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্টে মোট ১২ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশের সদর দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে গ্রেফতারদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড গুলি, ৬২ গ্রাম গান পাউডার, তিনটি রামদা, একটি লোহার তৈরি দা, একটি ছোরা, দুইটি লোহার রড এবং একটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার শিকার হন ১৫ থেকে ১৬ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

হামলার এ ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দাবি, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে গিয়েছিলেন। তখন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরি, সাবেক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার

প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় সরকারি চাকরি করার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. সুমন (৩১) নামের পুলিশের এক সাবেক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতির পরিচয়ে এক যুগ পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার মো. সুমন আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর আখাউড়ার মোগড়া গ্রামের যুবক মো. ফরহাদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সুমনের প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তে তাঁর প্রতারণার বিষয়টি পুলিশের কাছ ধরা পড়ে। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর পুলিশের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সুমনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. সুমন ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পরীক্ষায় অংশ নেন। নিয়োগের সময় মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরির জন্য প্রতিবেশী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা পুরুষ (নাতি) কোটায় চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ট্রেনিং সেন্টারে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ নেন সুমন। ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন তিনি। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া এ প্রতারণার বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন দেন। সেখানে কনস্টেবল সুমনের প্রতারণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সুমন শুক্রবার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ