মহানগর ১২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
Published: 1st, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১২নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল। সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর বার একাডেমী স্কুল মাঠে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, সদস্য শাহীন শরীফ ও আরিফ খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
এসময়ে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মী সভার উদ্বোধন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুবায়ের আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ র য বদল র র রহম ন ল ইসল ম আহম দ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন সাহেদ (ভিডিও)
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন।
সাহেদ বলেন, বিএনপির সাবেক এক এমপি বলেছেন বিএনপিতে নাকি ‘গণতন্ত্র’ নাই, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হল বিএনপি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল। তিনি ছিলেন এদেশের বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।
(ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন)
আমাদের আদর্শের জননী হল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উনি এদেশের গণতন্ত্রকে পূর্ণ উদ্ধার করার জন্য ৮০ বছর বয়সেও কিন্তু জেল খাটতে হয়েছে। আমরা কিন্তু তার মুক্তির জন্য কাঁধে কাঁধ রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
আপনাকে যখন জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া হল তখন কিন্তু আপনি এই কথা বলেননি আপনাকে যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি করা হয়েছিল তখনও আপনি কিছু বলেননি। কি উদ্দেশ্য নিয়ে আপনি এই কথা বলেছেন আপনাকে অবশ্যই দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দলীয় সাধারণ নেতাকর্মীদের কাছে ২৪ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। দলকে নিয়ে খেলা করার কারো অধিকার নাই। আমি হই কিংবা যেই হোক।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব এনায়েতনগরে মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, সদস্য বাদশা খান, আশিকুর রহমান অনি ও যুবদল নেতা রহমত উল্লাহর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
তিনি বলেন, আপনাকে তো হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ থেকে নিয়ে এসে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় যারা প্রকৃত বিএনপি তারা আপনার দ্বারা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেনের পরিবার গাজী ইসমাইল হোসেনের পরিবার বিএনপি নামক দল করে তারা কোন ব্যবসায়ী সুবিধা করতে পারে নাই।
বিগত ১৭টি বছরের বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ১৫টি বছর কিন্তু আপনাকে চোখেও দেখা যায়নি। লাস্ট দুই বছরে আপনাকে টেনে এনে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সবাই মনে করেছিল আপনি পুরনো যে যৌবনের ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে নেতাকর্মী সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন কিন্তু আপনি ৫ তারিখ পর্যন্ত ঠিকই করেছেন এরপরে আপনি আবার পুরনো চিত্তে ফিরে গেছেন।
এরপরে দল তদন্ত সাপেক্ষে আপনার কমিটি ভেঙ্গে দেয়। আবারো পরের কমিটিতে আপনাকে সম্মানিত পদ সদস্য রাখা হয়েছে। সুতরাং আপনার মতন একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি তার থেকে আমরা এ ধরনের বক্তব্যে আশা করি নাই। আপনার এধরনের বক্তব্যে আমাদের বুকে কষ্ট এবং আঘাতও লেগেছে। কারণ বিগত ১৭টি বছর আমরা এই দলের জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি।
তখন কিন্তু আপনাকে পাইনি কিন্তু আমরা ঠিকই কিন্তু এই দলকে টিকিয়ে রাখতে রাজপথে ছিলাম। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমরা কিন্তু বিএনপির ডাকা প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম পালন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব। অথচ ৫তারিখের পরে আমার রানিং ব্যবসা নিয়ে কি হয়েছে তা আপনারা জানেন। তারপরও কিন্তু আমি আমার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে আক্রমণ করে কোন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কোনো কিছু বলি নাই। কিন্তু তিনি যেটি বলেছেন এটার প্রতিবাদ না করে পারলাম না কারণ এটা কিন্তু কোন ব্যক্তি না এটা সামগ্রিক।
যারা শহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে লালন করে বিএনপি রাজনীতি করে তারা অবশ্যই এটার প্রতিবাদ করবে। কারণ তাদের শরীরে এটা লাগে। সুতরাং যারা এই সকল মানুষের পিছনে ঘুরে তারা নির্লজ্জ।