চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
Published: 1st, March 2025 GMT
পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চলে আসা ইর্ন্টান চিকিৎসকদের সপ্তাহব্যাপী চলমান র্কমবরিতি র্কমসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লাস বর্জন র্কমসূচওি প্রত্যাহার করে নয়িছেনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুরে ‘চমেক শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকবৃন্দ’ ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবশে অনুষ্ঠতি হয়। এতে ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবির প্রতি সর্মথন জানিয়ে বক্তব্য দেন চমেক অধ্যক্ষ মো.
অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন বলেন, সরকারিভাবে দাবির বিষয়গুলো মীমাংসার চেষ্টা চলছে। ১২ মার্চ আদালতের একটি রায় আসার কথা রয়েছে। তাই আমি সবার প্রতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার উচিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা।
তসলিম উদ্দীন বলেন, বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। এই দাবির পক্ষে রয়েছে অনেকেই। পাশাপাশি পাঁচদফা দাবিগুলোও আমরা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি শিগগির এ ব্যাপারে ইতিবাচক নির্দেশনা আসবে।
এই দুই দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন ইতিবাচক বক্তব্যের পরপরই র্কমবরিতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন ইর্ন্টান ডা. আহমদ হাসনাইন। পাশাপাশি ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহাররে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন।
ডা. আহমদ হাসনাইন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা র্কমসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছিলেন চমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনুবাদকেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন: আলী আহমদ
আমার বই পেশাদার প্রকাশকরা প্রকাশ করেন। এদের সংখ্যা একাধিক। এদের মধ্যে অনেকে সুস্পষ্ট হিসাবের মাধ্যমে রয়ালটির অর্থ বুঝিয়ে দেন; কেউ দেন না। তবে শেষোক্তদের সংখ্যা এখন একজন। তার কাছ থেকে ক্রমাগত সরে আসছি। তাদের হিসেব এবং লেখক সম্মানী দেয়া থেকে মনে হয়, আমাদের দেশে বই পড়ার সংস্কৃতি বিবেচনায় পাঠকসংখ্যা অবশ্যই বাড়ছে। আমার স্বল্পমূল্যের ডেরেক ওয়ালকটের ক্ষুদ্র পরিসরের ‘স্বপ্নগিরি’ নামে একটি নাটকের দ্বিতীয় সংস্করণ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এর প্রধান কারণ অবশ্য এটা হতে পারে, ওই নাটকটি ইতোমধ্যে, আমার জানা মতে, চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উত্তর-ঔপনিবেশিক সাহিত্য শাখায় পাঠ্যতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ‘আমার মনে হয়’ বাক্যাংশটি এ কারণে জুড়ে দিলাম, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিংবা আমার প্রকাশক আমাকে এ কথা জানাননি। আমি বিষয়টি জেনেছি ঘটনাক্রমে। বিষয়টি সুস্পষ্ট করার লক্ষ্যে আমি ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামোল্লেখ করছি; ওগুলো হলো-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাত্র দু’তিন দিন হলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আহমেদ মাওলা আমাকে জানিয়েছেন তাদের বিভাগেও বইখানি পাঠ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক আমাকে জানিয়েছিলেন যে, অন্যান্য আরও কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বইটি পাঠ্যতালিকাভুক্ত করা হয়ে থাকতে পারে।
আমাদের দেশে অনূদিত বইয়ের বাজার তৈরি হচ্ছে। তবে প্রশ্ন থাকে যে, বইগুলোর অনুবাদ স্বত্ব নেয়া হয় কিনা? এর সবচেয়ে বড় কারণ বোধ হয়, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা এখনও মেধাস্বত্ত্ব আইনের আওতায় শাস্তির আওতামুক্ত। আরও একটি বড় কারণ, আমাদের এখানে পাঠকসংখ্যার স্বল্পতা সম্পর্কে উন্নত দেশের লেখক-প্রকাশকেরা অবহিত বলে এখান থেকে যাওয়া অনুবাদের প্রস্তাব তারা আমলে নেন বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশ ঘুরে যাওয়া নোবেলজয়ী এক লেখক সম্পর্কে আমাদের বড় একটি প্রকাশনা সংস্থার অনুবাদ-প্রস্তাবের কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি। অন্য আরেকটি বইয়ের আমার অনুবাদ-প্রস্তাব সম্পর্কে বাংলা একাডেমির পাঠানো প্রস্তাবে বিদেশি একটি প্রকাশনা সংস্থা এক বিশাল অঙ্কের টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় দাবি করলে আমরা ওই সম্ভাব্য প্রকল্প পরিত্যাগ করেছিলাম। এসব কারণে অনুবাদ-স্বত্ব এখানে খুব কমই নেয়া হয়।
অনুবাদ স্বত্ব না কেনায় আমাদের অনুবাদকেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে আমরা পিছিয়ে পড়ছি বলেও মনে হয়। তবে এর সঙ্গে আরেকটি বড় কারণ যোগ করা দরকার। আমাদের অনেকেই এমন অনুবাদ করেন যা মানসম্মত নয়। এমনকি, অনেক ক্ষেত্রে তা আসলে অনুবাদই নয়। এ দোষটি কলকাতায়ও অনেক আছে, তবে সম্ভবত ভারত সর্ববৃহৎ দেশ হবার কারণে যেসব সুবিধা পায়, এটিও হয়তো তার অন্যতম। বিদেশীরা অনেকেই হয়তো জানেন না, বাংলাদেশের বাঙালি পাঠক ভারতের একই ভাষাভাষি পাঠকের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি। কথাটি কতোখানি সঠিক তা হলফ করে বলতে পারব না, কারণ আমাদের পাঠাভ্যাস ও বইকেনা, মাথাপিছু হিসেবে, ভারতের চেয়ে কম বলে মনে হয়। তবে এর কোনো পরিসংখ্যান আমার জানা নেই।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় ‘নির্বাচিত নোবেল বক্তৃতা’
সাবিত সারওয়ারের গল্পের বই ‘মেছো ভূতের কান্না’
দেশে যে অনুবাদ হয়, এর সিংহভাগ ইংরেজি থেকে। এর কারণও রয়েছে। শিক্ষার বন্ধ্যাত্বই এর মূল কারণ। ইয়োরোপের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা তিন-চারটি ভাষা জানে। ইংরেজির সঙ্গে আমাদের প্রায় দু’শো বছরের পরিচয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উচ্চতম ডিগ্রিধারীদের কত শতাংশ ইংরেজি জানেন সে প্রশ্নের উত্তর আমরা প্রায় সবাই জানি। এটি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং আমাদের সকলের ব্যর্থতা।
আবার এটাও সত্য যে, দেশে একটা বইয়ের পাঁচ-সাতটা পর্যন্ত অনুবাদ হচ্ছে। বিশেষ করে জনপ্রিয়, ম্যান অব বুকার বা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া লেখকের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। সোজা-সাপ্টা হিসেবে বিষয়টি সত্য বলে মেনে নেয়া ভালো। আমি নিজে যতো বই অনুবাদ করেছি, তারও অধিকাংশ নোবেলজয়ীদের এবং এইমাত্র যে-কথা বললাম তা সত্য হলেও, আরেকটি মহৎ দুরাশা প্রথম থেকেই আমি পোষণ করে আসছি- তা হলো, এসব উঁচু মানের বই পড়ে হয়তো আমাদের লেখক-পাঠকদের রুচি বদলাবে! তবে অনুবাদকদের মধ্যে একটা পরিবর্তন যে এসেছে তা অবশ্যই লক্ষণীয়। ১৯৮৯ সালে স্পেনীয় লেখক, তখনকার সদ্য নোবেলজয়ী কামিলো হোসে সেলা’র পাস্কুয়াল ‘দুয়ার্তের পরিবার’ একজন সহযোগী নিয়ে আমি যে অনুবাদ করেছিলাম, সেটিই ছিলো বাংলাদেশে সম্ভবত আধুনিক সাহিত্যের অনুবাদের একেবারে গোড়ার দিকের কাজ। তারপর আরো অনেকে ওই কাজে যোগ দিয়েছেন, এবং এখন বেশ কয়েকজন মেধাবী ও দক্ষ অনুবাদক আমাদের সাহিত্যের এই শাখাটিকে ক্রমাগত বেগবান করে তুলছেন।
অনুবাদ বইয়ের প্রকাশনা এখন বিকাশমান একটা ক্ষেত্র। কিন্তু মানহীন প্রকাশনার কারণে পাঠক নিজেদের প্রতারিত বোধ করে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। এতে দিন শেষে প্রকাশনার ক্ষতি। আবার প্রকাশনীগুলোতে এখনো অনুবাদ বইয়ের পাণ্ডুলিপি দেখার মতো দুই ভাষাতেই দক্ষ ব্যক্তির অভাব রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রবিরোধী, ইত্যাদি কতকগুলো বিষয় বাদ দিয়ে, লেখা, কথা বলা; এক কথায় কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা আমরা মেনে নিয়েছি। তাই আইন করে তো ওগুলো বন্ধ করার উপায় নেই, এবং তা করার চেষ্টাও হবে মূর্খতা। শেষ বিচারে, পাঠক-রুচির উন্নয়ন ছাড়া ওই পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। পাঠক যখন পড়ার জন্য মানসম্মত বই কিনবেন, তখন বাজে বই ক্রমাগত নিরুদ্দেশ হতে শুরু করবে বলে মনে হয়। তবে লেখক কিংবা কবিখ্যাতি পাবার ইচ্ছা কিছু মানুষের মধ্যে সবসময়ই থাকবে এবং এদের কারো কারো গাঁটে টাকাও থাকবে। আর থাকবে প্রকাশক সেজে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো লোক। তাই এরূপ অপব্যবসা বেশ কিছুকাল চলবে বলে ধরে নেয়া ভালো। তবে পাঠক যে ভালো লেখা পড়তে চান, তার প্রমাণ ইতোমধ্যেই কিন্তু মিলতে শুরু করেছে।
জাতি হিসেবে এখন পর্যন্ত আমরা দল, উপদল, কোন্দল এবং এর সঙ্গে দুর্নীতি ছাড়তে তো পারছিই না, বরং ক্রমাগত তা বাড়তে বাড়তে মহামারির রূপ ধারণ করছে! কাজেই, যথাযথ লেখক, অনুবাদক কিংবা জাতীয় অন্যান্য প্রায় সব ক্ষেত্রেই সর্বগ্রাসী এই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দল-উপদল কোনো ভালো পদক্ষেপকেই সফল হতে দিচ্ছে না। এই দুরারোগ্য ব্যাধিসমূহকে অন্ততপক্ষে সহনীয় একটা পর্যায়ে না-আনতে পারলে, ভালো পদক্ষেপও অচিরে অন্য আরেকটি ব্যাধির সুতিকাগার হয়ে ওঠে।
বাজারে গুজব রয়েছে, কোনো কোনো প্রকাশক তাড়াহুড়ো করে তাদের কাঙ্ক্ষিত একখানা বই সংগ্রহ করে অদক্ষ এবং যথেষ্ট ইংরেজি না-জানা (কখনো কখনো অযোগ্য এবং তাদের পরিচিত ছাত্রকে) ধরে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে যেনতেন প্রকারে একটা বই দাঁড় করিয়ে বাজারে ছেড়ে দেয়। আগ্রহী পাঠক তা কিনে পড়া শুরু করার পর যখন মাথা-মুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারেন না, তখন ভাবেন, এবং কখনো কখনো বলেন, ‘অনুবাদের বই পড়া যায় না।’ আবার ওই একই পাঠক পরে যখন অনূদিত কোনো ভালো বই পড়েন, তখন আনন্দে বলে ওঠেন, ‘বইখানা একেবারে অনুবাদের মতো মনেই হয় না!’
একটা দাবি আমরা প্রায়ই শুনি- মূল থেকে (সেটা ইংরেজি বা যে কোনো ভাষা হতে পারে) অনুবাদ ছাড়া বাংলা একাডেমির অনুবাদ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা না করা- এটা যথাযথ দাবি। কিন্তু সেজন্য দরকার পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভাষা জানা অনেক লোক। আবার ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য সাহিত্য-ঋদ্ধ ভাষাগুলো শুধু ভালোভাবে জানলেই হবে না, তাদের সাহিত্যিক মনোভাবাপন্ন হওয়াটা অত্যন্ত আবশ্যকীয় একটা পূর্বশর্ত হয়ে দাঁড়াবে। এসব বিবেচনায় নিলে, আমাদের দেশে তেমন দক্ষ লোক নিতান্তই অপ্রতুল হবে বলে মনে হয়। আমার আশঙ্কা, যথাযথ দক্ষ অনুবাদক-শ্রেণি তৈরি হবার আগে কথিত ওই পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশি সাহিত্যের অনুবাদ শাখা নাজুক হয়ে পড়বে। তাই সেটা হবে আত্মঘাতি। আরেকটি বিষয় হলো, আমরা যে রাতারাতি বিদেশি ভাষা আয়ত্ব করে এ অভাব পূরণ করতে পারব, তা আমার মোটেই মনে হয় না।
তবে আশার কথা এই যে, অনুবাদ গ্রন্থে একটা বিশেষ দিক চোখে পড়ছে, প্রবাসী বহু ব্যক্তি এতে অংশগ্রহণ করছেন। এটা আসলে খুব ভালো খবর। এর ফলে বেশি বেশি অনুবাদক পাওয়া যাবে। তবে তাদের মধ্যে যারা দক্ষ তারা অনুবাদ শাখাটিকে যেমন ঋদ্ধ করবেন, তেমনি ওই শ্রেণির অনুবাদকদের মধ্যে যারা দক্ষ নন, তারা নানাভাবে এখানে নতুন মাত্রার দুর্নীতির ব্যাপক প্রচলন করতে পারেন। কিছু কিছু পুরস্কার নিয়ে কিছুকাল যাবৎ ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে, শুনতে পাই। গত বছর পুরস্কারের নানাদিক নিয়ে লিখিতভাবেও অনেক কথা বলা হয়েছে। একজন কিংবা দু’জন ব্যক্তির অপসারণ এটা ঠেকাতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। এই দিকটি নিয়ে এখনই ভাবা দরকার। আরেকটি বিষয়ও আমাদের মনে রাখতে হবে। তা হলো বইয়ের পাইরেসি। বছর কয়েকের মধ্যে বিদেশিদের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের জবাবদিহি মোকাবিলা করতে হবে। সেটা হবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায়। ওই আইনসমূহ না-মানা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়ে দাঁড়াবে।
এবার বইমেলায় আমার বই আসেনি। তবে বাংলায় এখনও অনূদিত হয়নি, আবদুলরাজাক গুরনার মাঝারি আকৃতির একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি একজন প্রকাশক নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই বইমেলায় অবশ্যই ধরাবেন। মূল বইটি ইংরেজিতে, নাম Desertion. বাংলায় আমি অনুবাদ করেছি ‘পলায়ন’ নামে। প্রকাশক আমাকে অগ্রীম হিসেবে কিছু টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু আমার দেয়া শিরোনামের প্রতি সম্মান দেখিয়েই, বোধ হয়, সে প্রকাশনী পলায়নের পথই বেছে নিয়েছে।
লেখক: অনুবাদক, লেখক ও প্রবন্ধকার
তারা//