লোকমান খালাস, মে মাসে মোহামেডানের নির্বাচন
Published: 1st, March 2025 GMT
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ অতিরিক্ত দুই বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের ৫ মার্চ হওয়ার কথা ছিল নির্বাচন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন না করায় আইনী জটিলতায় এড়াতে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ৩ বা ১০ মে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখও ঠিক করা হয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোহামেডান ক্লাবের সাবেক ডিরেক্টর ইন চার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ক্যাসিনোকান্ড এবং মানি লন্ডারিং মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার একমাস পর আজ সাংবাদিকদের কাছে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
২০১৯ সালে দুদক মানিলন্ডারিং মামলা করে লোকমানের বিরুদ্ধে। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জানান, দুদকের আনিত অভিযোগের সত্যতা না মেলায় আদালত বেকসুর খালাস দেন আমার মক্কেল লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে।
মামলার কারণে মোহামেডান ক্লাব এবং বিসিবি পরিচালক পদে নির্বাচন করতে পারেননি লোকমান। তার আইনজীবী জানান, মামলা নিষ্পত্তি এবং নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করতে কোনো বাঁধা থাকছে না। লোকমান ভূঁইয়া ক্লাব ক্যাটাগরিতে বিসিবি কাউন্সিলর বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল কম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত হারুনুর রশিদ আবার সভাপতি, সম্পাদক বিএনপির শাতিল মাহমুদ
কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২৫-২০২৬) আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ আবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী এস এম শাতিল মাহমুদ। তিনি কুমারখালী উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক।
গতকাল বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কে এম আবদুর রউফ। কমিশনের সদস্য ছিলেন মোস্তফা সামসুজ্জামান ও আল মুজাহিদ হোসেন।
আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ৯ জন, বিএনপি–সমর্থিত ৩ জন, বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ দুজন, জামায়াত–সমর্থিত দুজন, জাতীয় পার্টি–সমর্থিত একজন নির্বাচিত হয়েছেন।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে গত সোমবার আদালত চত্বরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ৪০–৫০ জন আদালত চত্বরে নির্বাচনী পাঁচটি ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর করেন। তখন এক শিক্ষানবিশ আইনজীবী মুঠোফোন দিয়ে ওই দৃশ্য ধারণ করছিলেন। তখন তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। এ নিয়ে আদালতপাড়ায় আলোচনা–সমালোচনা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদের জন্য ৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির ৪৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৪৩০ জন ভোটার তাঁদের ভোট দেন।
সভাপতি পদে হারুনুর রশিদ ১৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহেল খালিদ মো. সাঈদ ১০৮ ভোট পেয়েছেন। বিএনপির একাংশের সমর্থিত প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন পেয়েছেন ৭৭ ভোট। জামায়াতপন্থী আইনজীবী আজিজুর রহমান পেয়েছেন ৩৯ ভোট। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোহাম্মদ পেয়েছেন ৩৬ ভোট। আরেক সভাপতি প্রার্থী জাসদ–সমর্থিত তানজিলুর রহমান পেয়েছেন ১৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে আইনজীবী এস এম শাতিল মাহমুদ ১৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ–সমর্থিত খ ম আরিফুল ইসলাম ১৬৭ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আজম মৃধা, সহসভাপতি পদে মাহমুদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নাজমুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে আবুল হাশিম, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে সুলতানা বেগম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মকলেচুর রহমান ও দপ্তর সম্পাদক পদে ওয়ালীউল বারী।
এ ছাড়া সিনিয়র সদস্য পদে মারুফ বিল্লাহ, আশুতোষ কুমার পাল, আয়েশা সিদ্দিকা, হাফিজুর রহমান এবং জুনিয়র সদস্য পদে মুহাইমিনুর রহমান, সাইফুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।