জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বাস সহযোগিতা দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পরিবাররা এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য জেলা প্রশাসকের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করেছিলেন। এজন্যই তিনি এটা করেছেন। এটা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আর ওই বাসের জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি বা অন্যান্য খরচ জেলা প্রশাসন বহন করেনি।’ 

আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। রমজান উপলক্ষে বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। 

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে রিল বানায়: স্বস্তিকা

ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সমকালীন বিষয়ে অকপট কথা বলে থাকেন। ইদানীং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত ভ্লগারদের নিয়ে দারুণ বিরক্ত স্বস্তিকা। তাই কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দেন।

স্বস্তিকা পরিষ্কারভাবে লেখেন, “আমি এখন থেকে আর কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের সিনেমারও না, পরের সিনেমারও না। এমনিতেও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের। এর পেছনে অনেক কারণ।”

প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের ভিড় দেখে সিনেমা দেখতে হলে যান না দর্শকরা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী লেখেন, “প্রিমিয়ারে ভিড় বা তার পরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিক মাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন সিনেমার টিজার, ট্রেইলার, পোস্টার দেখে বা যদি সিনেমার কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে এই কাজটা আসছে।”

আরো পড়ুন:

পালিয়ে বিয়ের পর জীবন ‘আলুথালু’ হয়েছিল যে অভিনেত্রীর জীবন

‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’

কলকাতা শহরে সবাই পাপারাজ্জি হয়ে উঠেছেন। তা স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন, “সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনে তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হব জানি না। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাজ্জি। আর কোনো ডেকরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই, যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন, সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। সেদিন ট্রেইলার লঞ্চিংয়ে আমার ছবি তুলতে গিয়ে কেউ একজন আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।”

প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে যাওয়ার দাওয়াত না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন, “এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তা-ঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই। কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়! কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নেমন্তন্ন করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে সিনেমায় কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আরো আরো কয়েক শো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ