এবারও পুরো রমজান মাস ও ঈদের কেনাকাটায় দেশের শীর্ষ সুপারস্টোরগুলোয় বিকাশে লেনদেন করলে মিলছে ছাড়। সুপারস্টোর ভেদে ‘আরটু’ এবং ‘আরথ্রি’ উভয় কুপন ব্যবহার করে বিকাশে বিল পরিশোধে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত তাৎক্ষণিক ছাড় পাবেন একজন গ্রাহক। যা গত ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে, চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিকাশ।

এতে জানানো হয়েছে, সুপারস্টোরগুলোয় কেনাকাটা শেষে বিকাশ অ্যাপে আরটু কুপন কোড যোগ করে ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা পরিশোধ করলেই গ্রাহক পাচ্ছেন ৫০ টাকা ছাড়। এ প্রক্রিয়ায় একজন গ্রাহক দিনে একবার এবং অফার চলাকালীন তিনবারে ৫০ টাকা করে মোট ১৫০ টাকা ছাড় পাবেন। বিকাশ অ্যাপে আরটু কুপন যোগ করে ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধে ৫০ টাকা তাৎক্ষণিক ছাড় পাওয়া যাচ্ছে মীনা বাজার, ইউনিমার্ট, ডেইলি শপিং, আগোরা, প্রিন্স বাজার, বেঙ্গল মিট, হোলসেল ক্লাব, আপন ফ্যামিলি মার্টসহ আরও বেশ কয়েকটি সুপারস্টোরে।

এদিকে সুপারস্টোর ব্র্যান্ড স্বপ্ন–এর বিভিন্ন আউটলেটে আরথ্রি কুপন ব্যবহার করে ন্যূনতম এক হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধে দিনে একবার ৫০ টাকা এবং অফার চলাকালীন তিনবারে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা তাৎক্ষণিক ছাড় মিলছে।

কুপন কোড যোগ করে বিকাশ অ্যাপ, কিউআর কোড এবং বিকাশ বাংলা কিউআর ব্যবহার করে পেমেন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা এই ছাড় উপভোগ করতে পারছেন। উভয় কর্মসূচির ক্ষেত্রেই ছাড়ের মেয়াদ থাকবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টাকা পরিশোধের সময় গ্রাহকেরা বিকাশ অ্যাপের ‘পেমেন্ট’ সেকশনের কুপন বা প্রোমোকোড অপশন থেকে কুপন যোগ করে নিতে পারবেন। আবার অ্যাপের মেন্যু থেকেও কুপন আইকনে ট্যাপ করেও কোডটি যোগ করা যাবে। সুপারস্টোরভেদে আরটু এবং আরথ্রি কুপনের প্রতিটি একই দিনে একবার করে ব্যবহার করা যাবে। নতুন কুপন ব্যবহার করার জন্য পূর্বের অব্যবহৃত কুপনটি আগে ব্যবহার করতে হবে। একটি কুপন শুধু একটি পেমেন্টের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর য গ কর গ র হক ৫০ ট ক পর শ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি পরিবারের বউ হয়ে এসেছিলেন, হয়েছেন দেশসেরা কৃষক

চৈত্রের দুপুরে খর রোদে যেন আরও শীর্ণ হয়েছে ফরিদপুর শহরের কুমার নদ। তাপ উঠে আসছে মাটি থেকেও। শহরের অম্বিকাপুরের আলো–হাওয়ায় পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের কলমে উঠে এসেছিল ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’–এর মতো সাহিত্যগাথা। ২ এপ্রিল দুপুরে প্রখর রোদের ভেতর গিয়ে দেখা গেল, পল্লিকবির বাড়ির কাছে অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুরে যেন আরেক ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ বানিয়েছেন কৃষক সাহিদা বেগম।

সাহিদা মাঠজুড়ে ফলিয়েছেন ‘কালো সোনা’ বলে পরিচিত পেঁয়াজের দানা। কদমের মতো সাদা কেশরের ফুল ফুটে আছে সেখানে। মৌমাছি কমেছে বলে আশপাশে রয়েছে হলদে রঙের ‘হরপা’ নামের একধরনের ফুল গাছ। ওই দিন দুপুরে চড়া রোদে মাঠে ফসলের তদারক করছিলেন সাহিদা। তিনি ফরিদপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নত জাতের পেঁয়াজবীজ উৎপাদন করে পরিচিতি পেয়েছেন।

সাহিদা বললেন, ‘পেঁয়াজের সাদা কদম শুকিয়ে গেলে ঝরে পড়ে কালো দানা কিংবা বা বীজ। এ বীজের দাম অনেক। ফুলগুলো বড় করতে হয় অনেক ধৈর্য নিয়ে।’ তিনি জানান, মাঠ থেকে তুলে নিয়ে শুকিয়ে মলন দিয়ে বের করতে হয় সেই কালো সোনা। এ কাজে ঝুঁকি অনেক। কারণ, কয়েক মাস ধরে মাঠে বড় করতে হয়। বৃষ্টিপাত, গরম—সবকিছু প্রভাব ফেলে উৎপাদনে। যদিও এখানে যত ঝুঁকি, তত লাভ।

পরিশ্রমী সাহিদা দেশসেরা নারী কৃষকদের একজন। ২০০৪ সালে মাত্র ২০ শতাংশ জায়গায় তিনি চাষাবাদ শুরু করেছিলেন। এ বছর তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ১০ হাজার শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেছেন।

প্রতিদিন সাহিদার কাজকর্ম শুরু হয় ভোরে। পরিবারের সদস্যসহ কৃষিশ্রমিকদের জন্য নিজে রান্না করেন। সকালের খাবার খেয়ে চলে যান খেতে। জমিতে কাজের তদারক করেন। সেখানেই বিকেল গড়ায়। কোনো এক ফাঁকে হয়তো বাসায় ফেরেন। কাজের চাপ থাকলে শ্রমিকদের সঙ্গে মাঠে বসে যান থালা হাতে, দুপুরের খাবার নিয়ে।কাজ শুরু করেন ভোরে

প্রতিদিন সাহিদার কাজকর্ম শুরু হয় ভোরে। পরিবারের সদস্যসহ কৃষিশ্রমিকদের জন্য নিজে রান্না করেন। সকালের খাবার খেয়ে চলে যান খেতে। জমিতে কাজের তদারক করেন। সেখানেই বিকেল গড়ায়। কোনো এক ফাঁকে হয়তো বাসায় ফেরেন। কাজের চাপ থাকলে শ্রমিকদের সঙ্গে মাঠে বসে যান থালা হাতে, দুপুরের খাবার নিয়ে।

অথচ শুরুটা ছিল অভাবের সংসারে একটু সচ্ছলতার প্রত্যাশায়। এখন পেঁয়াজ তোলার সময় সাহিদার ফসলের মাঠে কাজ করে তিন শর বেশি শ্রমিক। মৌসুম ছাড়াও রোজ থাকেন ৫০ থেকে ৬০ জন করে। তাই সাহিদাকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও চেনে মানুষ।

নিজের ফসলের খেতে নারী কৃষক সাহিদা বেগম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্ষমতার প্রথম ১০০ দিনে ট্রাম্পের যত আলোচিত উক্তি
  • আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি গোলরক্ষক হুগো গাত্তি আর নেই
  • ‘বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে’
  • শিক্ষকদের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ কতটা যৌক্তিক
  • প্রাণনাশের ভয় নিয়ে পালাতে হয়েছিল, দাবি হাথুরুসিংহের
  • খাল–নালায় পড়ে মৃত্যুর দায় নেয় না, তদন্তও করে না
  • ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি 
  • নাটোরের শিশুর লাশ উদ্ধারের মামলায় পাঁচ কিশোর আটক
  • কৃষি পরিবারের বউ হয়ে এসেছিলেন, হয়েছেন দেশসেরা কৃষক